ঝাড়খণ্ডে বিজেপির আয়োজিত নির্বাচনী এক সমাবেশে এই হুমকি দিয়েছেন তিনি। অমিত শাহ বলেছেন, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি সরকার গঠন করতে পারলে প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে খুঁজে বের করে উল্টো ঝুলিয়ে রাখা হবে।
বাংলাদেশে ক্রমশ বাড়ছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। একের পর এক ঘটনা তারই প্রমাণ দিচ্ছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করার পর বাংলাদেশের শাসনভার এখন ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী জামাত ইসলামি ও বিএনপির হাতে। দেশে অলিখিত শরিয়া আইন চালু করার পাশাপাশি চুড়ান্ত নৈরাজ্য সৃষ্টি করে রেখেছে ওই ইসলামি জঙ্গি দলগুলি বলে অভিযোগ। এবার পাল্টা গর্জে উঠলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ঝাড়খণ্ডে বিজেপির আয়োজিত নির্বাচনী এক সমাবেশে এই হুমকি দিয়েছেন তিনি। অমিত শাহ বলেছেন, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি সরকার গঠন করতে পারলে প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে খুঁজে বের করে উল্টো ঝুলিয়ে রাখা হবে। পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যে বিজেপিকে সরকার গঠনে সহায়তা করার জন্য জনতার প্রতি আহ্বান জানান অমিত শাহ। এ সময় তিনি বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগণা জেলায় উপজাতি জনগোষ্ঠীর লোকজনের সংখ্যা কমে যাওয়া এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা সম্পর্কে অতীতে বিজেপির বিভিন্ন নেতার করা মন্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন তিনি। অমিত শাহ বলেছেন, ''এই জমি আদিবাসীদের। কিন্তু এখানে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। আদিবাসীদের সংখ্যা ৪৪ শতাংশ থেকে কমে ২৮ শতাংশ হয়েছে। অনুপ্রবেশকারীরা জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডির ভোট ব্যাংক হওয়ায় এখানকার সরকার জনকল্যাণের পরিবর্তে অনুপ্রবেশকারীদের কল্যাণে নিযুক্ত রয়েছে।''
রাজ্যের পাকুর জেলায় ''হিন্দুদের ঝাড়খণ্ড ছাড়তে হবে'' স্লোগান দিতেও শুনেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভারতের এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে হেমন্ত সরেন নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ডের জোট সরকারকে ভারতের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, হেমন্তের সরকার দুর্নীতি ছাড়া কিছুই করছে না। এই সরকার ভারতে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার। এরপরেই বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন তিনি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।