তিরুমালা তিরুপতি মন্দিরে ঘি সরবরাহ করে এআর ডেয়ারি ফুড প্রাইভেট লিমিটেড। সংস্থার একটি অফিস রয়েছে তিরুপতি মন্দির সংলগ্ন এলাকায়।
তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু নিয়ে জোর বিরর্ক দেশজুড়ে। পশুর চর্বির পর এবার নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে মাছের তেল নিয়ে। অনেকের অভিযোগ শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানামে মাছের তেল ব্যবহার করা হয় প্রসাদের লাড্ডুতে। যদিও এই বিতর্কে জল ঢেলে দিয়েছেন মন্দিরে ঘি সরবরাহকারী সংস্থাটি। গোটা বিষয়টিকে সংস্থার পক্ষ থেকে অযৌক্তিক বলেও দাবি করা হয়েছে।
তিরুমালা তিরুপতি মন্দিরে ঘি সরবরাহ করে এআর ডেয়ারি ফুড প্রাইভেট লিমিটেড। সংস্থার একটি অফিস রয়েছে তিরুপতি মন্দির সংলগ্ন এলাকায়। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা মন্দিরে লাড্ডুর জন্য ঘি সরবরাহ কর। তবে ঘি-এর পরিবর্তে মাছের তেল সরবারহ করা হয় বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ ভুল। সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সাধারণ ঘি-এর তুলনায় মাছের তেল অনেক বেশি দামি। তাই ঘি-এর পরিবর্তে মাছের তেল সরবরাহ করার কোনও প্রশ্নই নেই।
ফার্মের মান নিয়ন্ত্রণের দায়ত্বে থাকা কর্মকর্তা জানিয়েছে, কোনও ধরনের ভেজাল জিনিস তারা সরবারহ করে না। ভেজাল হলে গন্ধ থেকে দ্রুত তা শনাক্ত করা যায়। কর্মকর্তার কথায়, 'উদ্ভিত তেল থেকে শুরু করে পশুর চর্বি লাড্ডু তৈরিতে ভেজাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই অভিযোগ ওঠার পরথেকেই তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আমাদের ব্যবসায়। ' সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ভেজাল জিনিস শনাক্ত করা যায় গন্ধ থেকেই। তাই ভেজাল সরবরাহের কোনও প্রশ্নই নেই।
সংস্থাটি ১৯৯৮ সাল থেকেই ঘি উৎপাদন করছে। ঘি তৈরির জন্য সংগ্রহ করা দুধের গুণগত মান ১০২টি পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। সংস্থার দাবি কোম্পানির ঘি টিটিডি অনুমোদিত।
তিরুপতি লাড্ডু বিতর্কে পবন কল্যাণ বলেছেন, এই লাড্ডু বিতর্ক সাধারণ হিন্দুদের মানসিকতায় গভীর ক্ষত তৈরি করেছে। মন্দির পরিচালনাকারী ট্রাস্টের হাত থেকে মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব হিন্দু ধর্মের নেতাদের হাতেই থাকা জরুরি। যদিও লাড্ডু বিতর্কে মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি যেসব ঘি মন্দিরে আসে তা যথাযথ ল্যাব টেস্ট করেই রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।