হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার হল বিজয় মালিয়া, নীরব মোদী, মেহুল চোকসিদের আরেক জাত-ভাই। রাজ সিং গেহলটের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার ব্য়াঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট।
খোঁজ মিলল বিজয় মালিয়া, নীরব মোদী, মেহুল চোকসিদের আরেক জাত-ভাইয়ের - রাজ সিং গেহলট। তবে ইনি মালিয়া-মোদীদের মতো অত উঁচুদরের খেলোয়ার নন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০০ কোটি টাকার ব্য়াঙ্ক জালিয়াতির। বৃহস্পতিবার এই মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডি গ্রেফতার করল তাকে। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে ইডি-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে এদিন গেহলটকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিনই তাকে দিল্লির এক আদালতে হাজির করা হবে।
কে এই রাজ সিং গেহলট? গুরুগ্রামের 'অ্যাম্বিয়েন্স' শপিং মলের মালিক। দিল্লি-রাজধানী এলাকার অন্যতম বিখ্য়াত শপিং মল হল এই অ্যাম্বিয়েন্স মল। কোভিড-১৯ মহামারির আগে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলিতে এই মলে পা পড়ত ৮০-৮৫ হাজার মানুষের। তবে প্রায় ১৮.৯৮ একর জমির উপর নির্মিত এই শপিং মল নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
অভিযোগ, অ্যাম্বিয়েন্স মলটি যে জমিতে তৈরি হয়েছে, তা বরাদ্দ ছিল একটি আবাসন প্রকল্পের জন্য। মলটি নির্মাণের সময় নির্মাণ সংক্রান্ত আইনি বিধান এবং আরও বেশ কিছু আইন ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট এই মামলার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইকে।
এরই মধ্যে রাজ সিং গেহলটের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগও উঠল। আপাতত জালিয়াতি মামলা সম্পর্কিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রাজ সিং গেহলটকে হেফাজতের নেওয়ার দাবি জানাবে ইডি, এমনটাই জানা গিয়েছে। শুধু গেহলটই নয়, এই মামলায় আরও অনেক রাঘব বোয়ালের নাম বের হতে পারে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের অনুমান, বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং পদস্থ সরকারী কর্মকর্তাদের সহায়তা ছাড়া গেহলট এই জালিয়াতি করতে পারতেন না। তাই এই মামলায় আর কারা কার জড়িয়ে রয়েছে সেই বিষয়েও তদন্ত করা হবে।