ড্রোন হামলার পর েবার পাকিস্তানের নয়া অস্ত্র ফোন হামলা। পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-য়ের ই নয়া কৌশল নিয়ে ভারতীয় সেনাকে সতর্ক করল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।
জম্মু বিমান ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পর েবার ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলিতে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-য়ের ফোন হামলা! েমমটাই বলছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। গোয়েন্দা সূত্র ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীগুলিকে সতর্ক করেছে, পাকিস্তান থেকে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যের ফোনে ক্রমাগত 'ফেক কল' ভূয়ো ফোন কল করে চলেছে। ের আগেও আইএসআই েরকম ফেক কল করত। কিন্তু, ইদানিং তার সংখ্যা দারুণভাবে বেড়েছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসাবে পরিচয় দিয়ে গলা নকল করে ইসব ফেকলগুলি করা হচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কলগুলি বিভিন্ন নম্বর থেকে করা হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফোনকলগুলি ঠিক কোথা থেকে করা হচ্ছে তা সন্ধান করা যাচ্ছে না। সাধারণত, ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার লক্ষ্যেই ের আগে সীমান্তের ওই পাড় থেকে েই ফেক কল গুলি আসত। কিন্তু, বর্তমানে ই ধরণের কলের পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্যও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ড্রোন হুমকির পর এই জাতীয় কলগুলির ক্রমবর্ধমান সংখ্যা নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করেছে।
তবে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীও সজাগ রয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থাগুলি পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার এই জাতীয় কর্মকাণ্ডের কথা সদর দফতরে রিপোর্ট করেছে বলে জানা গিয়েছে। ই ধরমের কলের বিপদ েড়াতে কী কী করতে হবে সেই বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকে আলাদা করে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। আসন্ন ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে এই ভুয়ো কলগুলির বিষয়ে সজাগ থাকতে এবং কোনও রকম তথ্য যাতে না দেওয়া হয়, সেই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ফোন হামলার পাশাপাশি অবশ্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে সতর্ক থাকতে হচ্ছে ড্রোন হামলা নিয়েও। গত ২৩ জুলাই আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী জম্মুর কানাচাক এলাকায় পাকিস্তান থেকে আসা একটি হেক্সাকপ্টার ড্রোনকে গুলি করে নিষ্ক্রিয় করেছিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। উপত্যকায় ড্রোন হামলার শুরুটা হয়েছিল, গত ২৭ জুন, জম্মুতে বায়ুসেনার ঘাটিতে ড্রোন হামলা দিয়ে। বায়ুসেনার বিমান ঘাঁটিতে ড্রোন মারফৎ বিস্ফোরক ফেলা হয়েছিল। ওই ঘটনায় দুই আইএএফ সদস্য আহত হয়েছিলেন। তারপর থেকে েকের পর েক ড্রোন হানা দিয়েছে। আর ড্রোন হামলা প্রতিরোধ করতে ভারতের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২৯ জুন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ই বিষয়ে একটি শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকও করেছিলেন।