ভারতে এখনও পর্যন্ত ছাড়পত্র পায়নি করোনাভাইরাসের কোনও টিকা। কিন্তু তার আগেই টিকাকরণ নিয়ে শুরু হয়ে গেছে প্রতারণা। ইতিমধ্যেই হরিয়ানা, হায়দরাবাদ, তেলাঙ্গনাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় করোনাভাইরাসের ভ্যাক্সিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করার আর্জি জানিয়ে জাল ফোন কল আসতে শুরু করেছে। একই কাণ্ড ঘটেছে মধ্যপ্রদেশেও।
মধ্যপ্রদশের পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযোগ পেয়েছে, যেখানে নাগরিকদের ফোন করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ের করোনাভাইরাসের টিকাকরণের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে আবেদন জানান হচ্ছে। ৫০০ টাকা জমা দিয়ে নাম নথিভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নাম নিয়ে ফোন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গ্রাহকদের একটি অ্যাপলিকেশন ডাইনলোড করার আবেদন জানান হয়েছে। পাশাপাশি একটি শেয়ার্ড ওটিপির মাধ্যমে অ্যাপে সাইন করার আহ্বান জানান হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের এক কর্মকর্তা।
BJP-র প্রচারে বড় ভূমিকা সনিয়া গান্ধীর, জেপি নাড্ডাও পোস্ট করলেন কংগ্রেস নেত্রীর ভিডিও ...
ট্রাক্টর দিয়ে ভাঙা হল পুলিশের ব্যারিকেড, দেখে নিন কৃষক আন্দোলনের সেই ভিডিও ...
মধ্য প্রদেশের সাইবার সেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রজত সেখাওয়াত নাগরিকদের সতর্ক করে কোনও রকম অ্যাপ ডাউনলোড করতে নিষেধ করেছেন। ওটিপি শেয়ার না করারও আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন এজাতীয় ঘটনা মধ্যপ্রদেশের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে ঘটছে। করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার নাম করে সক্রিয় হচ্ছে অসাধু সংস্থাগুলি।
সদ্যোই ভোপালেও এজাতীয় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যে ব্যক্তি ফোন করেছিল সে বলেছিল, হ্যালো স্যার, আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে ফোন করছি কোভিড ১৯এর ভ্যাক্সিনের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। এটি প্রথম আসা ও প্রথম পরিবেশনের ভিত্তিতে সরবরাহ করা হবে। আমরা আপনাকে একটি ওটিপি পাঠাচ্ছি। সেই ওটিপির মাধ্যমে মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময় করোনা-টিকা বুক করুন, যাতে আপনি প্রথম পর্যায়ে ভ্যাক্সিন পেতে পারেন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, যেসব নম্বর থেকে ফোন করা হচ্ছে সেগুলি খুঁজে বার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত কোনও করোনাটিকাকে ছাড়পত্র দেয়নি। দিন কয়েক আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করোনা টিকা প্রদান করা হবে। প্রথম দফায় স্বাস্থ্য কর্মী, ফ্রন্ট লাইনকর্মী , অসুস্থ ও ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদেরও টিকা দেওয়া হবে। পরবর্তী পর্যায়ের কথা এখনও পর্যন্ত ঘোষণা করেনি কেন্দ্রীয় সরকার।