ময়লা আবর্জনার ভেতর থেকেই কুড়ানির হাতে চলে এল কোটি কোটি টাকা!
কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর রাস্তায় কাগজ কুড়িয়ে বেরাতেন সলমন শেখ। আবর্জনার স্তূপ ঘেঁটে ময়লা উচ্ছিষ্ট বস্তু সংগ্রহ করেই চলত তাঁর টাকা রোজগার। কিন্তু, সেই ময়লা আবর্জনার ভেতর থেকেই তাঁর হাতে চলে এল কোটি কোটি টাকা!
-
১ নভেম্বর আবর্জনার স্তূপের ভেতর থেকে একটি ব্যাগ কুড়িয়ে পেয়েছিলেন সলমন শেখ। সেই ব্যাগটি খুলতেই তিনি ভেতরে দেখতে পান তাড়া তাড়া মার্কিন ডলারের নোট। অত নোট একসঙ্গে দেখে ঘাবড়ে যান সলমন। ব্যাগটি কুড়িয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে চলে আসেন তিনি। বাড়িতে এসে দেখতে পান ব্যাগটির ভেতরে মোট ২৩ বান্ডিল ডলারের নোট রাখা আছে।
-
সেই মুহূর্তে কাউকেই বিষয়টি জানাননি সলমন। অত নোটের ভারতীয় মূল্য কত হতে পারে, তা-ও তার সঠিক ধারণা ছিল না। ঘটনার পর থেকেই তিনি উশখুশ করছিলেন নিজের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে। অবশেষে নিজের ‘বস’ বাপ্পা নামের এক ব্যক্তির স্মরণাপন্ন হন সলমন। এতগুলি নোট দেখে বাপ্পাও বেশ হতভম্ব হয়ে যান। তিনি সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেন এলাকার এক সমাজকর্মী কালী মুল্লার সঙ্গে।
-
কালী মুল্লা এসে ডলারের ব্যাগ পাওয়া সলমনকে নিয়ে যান পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দের কাছে। সলমন ও বাপ্পার কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ জেনে নিয়ে তিনি হেব্বল থানার পুলিশকর্মীদের নির্দেশ দেন ডলারের ব্যাগটি খতিয়ে দেখার জন্য। ডলারগুলিতে কোনও রাসায়নিক পদার্থ মাখানো ছিল বলে বোঝা যেতেই পুলিশ কর্মীরা সন্দেহ করেন যে, সেগুলি আসল ডলার নয়, ‘ব্ল্যাক ডলার’ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত কারবারিরা এইসমস্ত জাল নোট ছাপিয়ে থাকতে পারে।
-
পুলিশের পক্ষ থেকে অবিলম্বে ওই নোটগুলি আসল কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে পাঠানো হয়েছে। ডলার বিলগুলি আবর্জনার স্তূপে কে বা কারা ফেলে দিয়ে গেল, সেই বিষয়েও তদন্ত করে দেখছে হেব্বল থানার পুলিশ।