৪ ডিসেম্বর থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ থেকে মহুয়া মৈত্র নিয়ে সিদ্ধান্ত

এখন থেকে নতুন সংসদ ভবনে সব অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। বিরোধী দলগুলোও সরকারকে কোণঠাসা করতে পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। ৫টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের কারণে এবার ডিসেম্বর থেকে অধিবেশন শুরু হচ্ছে।

Parna Sengupta | Published : Nov 9, 2023 2:48 PM IST

৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। এই অধিবেশনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিল আনা হতে পারে। এর মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এদিকে, ঘুষের বিনিময় সংসদে প্রশ্ন ইস্যুতে মহুয়া মৈত্রকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এথিক্স কমিটি। তাঁকে সংসদ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ সংখ্যা গরিষ্ঠের অনুমোদনে পাশ হয়েছে। কমিটির সুপারিশ আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে পেশ করা হচ্ছে। মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ৫০০ পাতার খসড়া রিপোর্টে এথিক্স কমিটির দশ সদস্যের মধ্যে ৬ জনই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছেন। চার জন মাত্র তাঁর পক্ষে সওয়াল করেছেন।

এখন থেকে নতুন সংসদ ভবনে সব অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। বিরোধী দলগুলোও সরকারকে কোণঠাসা করতে পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। ৫টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের কারণে এবার ডিসেম্বর থেকে অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সাধারণত এটি নভেম্বরের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহে শুরু হয়। ৩ ডিসেম্বর নির্বাচনের ফলাফল, তার পর অধিবেশনের আয়োজন করা হচ্ছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল নিয়ে আলোচনা

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল নিয়ে ইতিমধ্যেই তুমুল আলোচনা চলছে। এই বিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের পদমর্যাদা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সমান করার বিধান রয়েছে। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সমান মর্যাদা পান। এই বিলেরও ব্যাপক বিরোধিতা করা হচ্ছে কারণ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিরোধী দলগুলো বলছে, সরকার নিজেদের স্বেচ্ছাচারিতার জন্য এমন বিল আনতে চায়।

মহুয়া মৈত্রের সদস্যপদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে

এথিক্স প্যানেল ক্যাশ ফর কোয়েরি বিতর্কে তার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তৃণমূল সাংসদ তার সদস্যপদ হারাবেন কি না তাও সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে নেওয়া হবে। তবে এথিক্স কমিটির বিরোধী সাংসদরা সদস্যপদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন। এই বিতর্ক নিয়ে সংসদে তুমুল হৈচৈ হতে বাধ্য। বিরোধী দলগুলি ক্রমাগত অভিযোগ করছে যে বিরোধীদের কণ্ঠকে দমন করতে সরকারি তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আম আদমি পার্টির নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টিও হাউসে প্রাধান্য পেতে পারে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!