
Bengaluru Stampede Commissioner of Police suspended: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (Royal Challengers Bengaluru) আইপিএল (IPL 2025) জয় উদযাপনের সময় বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের (M Chinnaswamy Stadium) বাইরে ভয়াবহ হুড়োহুড়িতে ১১ জনের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসল কর্ণাটক সরকার। বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (CM Siddaramaiah) বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার (Commissioner of Police), অতিরিক্ত কমিশনার এবং অন্যান্য শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেছেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘কাব্বন পার্ক থানার ইন্সপেক্টর, স্টেশন হাউস মাস্টার, স্টেশন হাউস অফিসার, এসিপি, সেন্ট্রাল ডিভিশনের ডিসিপি, ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনচার্জ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ কমিশনারকে তাৎক্ষণিকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’ কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের জন্য হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মাইকেল ডি'কুনহার নেতৃত্বে এক সদস্যের একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, ‘আমরা ইভেন্ট ম্যানেজার ডিএনএ এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড, কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা এবং আরসিবি-র প্রতিনিধিদের, যাঁরা এই ইভেন্ট আয়োজনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এর আগে বেঙ্গালুরু পুলিশ আরসিবি, কেএসসিএ এবং ডিএনএ এন্টারটেইনমেন্ট-সহ আয়োজক এবং এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুসারে হত্যার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে। কাব্বন পার্ক থানায় দায়ের করা এফআইআর-এ স্বেচ্ছায় আঘাত এবং বেআইনি সমাবেশ-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর অভিযোগটি দায়ের করেন। এফআইআরে আনা অভিযোগগুলির মধ্যে রয়েছে স্বেচ্ছায় আঘাত (ধারা ১১৫), বিপজ্জনক অস্ত্র বা উপায় ব্যবহার করে স্বেচ্ছায় আঘাত বা গুরুতর আঘাত (ধারা ১১৮), জনসেবককে তাঁর কর্তব্য পালন থেকে বিরত রাখার জন্য স্বেচ্ছায় আঘাত বা গুরুতর আঘাত (ধারা ১২১) এবং বেআইনি সমাবেশ (ধারা ১৯০)।
এদিকে, বেঙ্গালুরু নগরের ডেপুটি কমিশনার জি জগদীশ, যিনি ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তিনি নিশ্চিত করেছেন যে কেএসসিএ, আরসিবি এবং পুলিশ কমিশনারকে তদন্তে যোগদানের জন্য সমন পাঠানো হবে। কর্ণাটক হাইকোর্ট, যারা এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নিয়েছে, রাজ্য সরকারকে ১০ জুনের মধ্যে একটি বিস্তারিত স্ট্যাটাস রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছে। কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য বৃহৎ জনসমাগমের জন্য একটি নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি প্রণয়নের কথা ঘোষণা করেছেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।