ভোটের আগেই ব্যাপক রদবদল বিজেপি শিবিরে। চার রাজ্যে রাজ্যসভাপতি বদল করল বিজেপি। দলবদলুদের গুরুত্ব গেরুয়া শিবিরে।
চলতি বছর পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার পরের বছরই লোকসভা নির্বাচন। দুটি নির্বাচনের কথা মাথায়ে রেখেই বড় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল বিজেপি। ভোটমুখী চার রাজ্যের দলের প্রধান হিসেবে পুরনোদের বাতিল করে নতুন মুখ নিয়োগ করল গেরুয়া শিবির। বিজেপির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে জি কিষাণ রেড্ডি, সুনীল জাখর , বাবুলাল মারান্ডিকে তেলাঙ্গনা , পঞ্জাব ও ঝাড়খণ্ডের দলের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। অন্ধ্র প্রদেশের দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ডি পুরান্দেশ্বরী।
তেলাঙ্গনায় বান্দি সঞ্জয় কুমারকে সরিয়ে দিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে জি কিষাণ রেড্ডিকে। তিনি বিধানসভা নির্বাচনে নেতৃত্ব দেবেন। তেলাঙ্গনার প্রথম অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত এটেলা রজেন্দরে রাজ্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপি। এটেলা কেসিআরএর দল ভারত রাষ্ট্র সমিতির অধীনেই রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছিলেন। ২০২১ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।
তেলেগু দেশম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও অন্ধ্র প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এনটি রামা রাওয়ার মেয়ে দার্গগুবর্তী পুরন্দেশ্বরীকে অন্ধ্র বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই রাজ্যে ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার কথা রয়েছে। তেলেগু দেশম পার্টি, কংগ্রেস ও বিজেপি রয়েছে প্রধান প্রতিপক্ষ।
কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা সুনীল জাখরকে পঞ্জাবে দলের শীর্ষস্থানে বসিয়েছে বিজেপি। রাজ্যে ঐক্য আর ভ্রাতৃত্বের ওপর জোর দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।
চলতি বছর ঝাড়খণ্ড বিধানসভ নির্বাচন। এই রাজ্যের বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। তাই বিজেপির তুরুপের তাস প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা বাবুলাল মারান্ডি। তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
বিজেপি আগামী ৭ জুলাই সমস্ত রাজ্যসভাপতি, রাজ্য সম্পাদক, রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক করবে দিল্লিতে। সেখানেই নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খব। এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন বি এল সন্তোষ।
শুধু দল নয় বিজেপি কেন্দ্র সরকারেও বড় পরিবর্তন করতে পারেন। কারণ সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন। এই বৈঠক দিল্লিতে প্রগতি ময়দানে নবনির্মিত কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠকের পর কিছুই ঘোষণা করা হয়নি। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বও বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা দলের সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বৈঠক চলেছিল। সূত্রের খবর সেখানেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের কথা আলোচনা হয়েছিল। সূত্রের খবর এমন মন্ত্রিসভা তৈরি করা হবে যা পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ কর্ণাটক নির্বাচনে হার এখনও মেনে নিতে পারেনি বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ
সায়নী ঘোষের লুক পরিবর্তন, অভিনেত্রী থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠতে সঙ্গী বড় টিপ আর খোঁপা
৮ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরা অনিল আম্বানিকে, বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ইডির