মহালক্ষ্মীর দেহ বেঙ্গালুরুতে তার মা এবং বড় বোন একটি ফ্রিজে খুঁজে পান। মহালক্ষ্মীর দেহ ৫০টিরও বেশি টুকরো করে ফ্রিজে রাখা হয়েছিল। হত্যার পর অভিযুক্ত স্থান পরিবর্তন করে পলাতক ছিল।
বেঙ্গালুরুর মহালক্ষ্মী হত্যা মামলায় নতুন মোড়। এরপর এই খুনের মামলা আরও জটিল হয়ে উঠল। অভিযুক্ত মুক্তিরঞ্জন রায়ের মৃতদেহ মিলল ঝুলন্ত অবস্থায়। এই ব্যক্তির খোঁজেই পুলিশ ওডিশায় গিয়েছিল। তবে এই মৃত্যু আদৌ আত্মহত্যা কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
মহালক্ষ্মীর দেহ বেঙ্গালুরুতে তার মা এবং বড় বোন একটি ফ্রিজে খুঁজে পান। মহালক্ষ্মীর দেহ ৫০টিরও বেশি টুকরো করে ফ্রিজে রাখা হয়েছিল। হত্যার পর অভিযুক্ত স্থান পরিবর্তন করে পলাতক ছিল। মহালক্ষ্মীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন ওডিশায় রয়েছে বলে পুলিশ তথ্য পেয়েছিল। বেঙ্গালুরু পুলিশের দল অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যায়। কিন্তু একটি গাছে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে ওডিশায় চারটি দল পাঠায় পুলিশ।
স্বামীর থেকে আলাদা থাকতেন মহালক্ষ্মী
মহালক্ষ্মীর নৃশংস হত্যাকাণ্ড গোটা দেশকে নাড়া দিয়েছে। নেপালের বাসিন্দা মহালক্ষ্মী গত ৯ মাস ধরে বেঙ্গালুরুতে তার স্বামীর থেকে আলাদা থাকছিলেন এবং আশরাফ নামে এক যুবকের সাথে বন্ধুত্ব করেছিলেন। আশরাফকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। মহালক্ষ্মীকে খুন করা হয়েছিল এবং তার শরীরের অংশগুলি বেঙ্গালুরুর মল্লেশ্বরাম এলাকার একটি বিল্ডিংয়ের একটি ফ্রিজে রাখা হয়েছিল। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মহালক্ষ্মীর মা ও বোন তার বাড়িতে পৌঁছালে খুনের বিষয়টি জানাজানি হয়। গত ১৯ আগস্ট শেষবারের মতো পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মহালক্ষ্মী। একই শহরে বসবাস করেও মা-বোন-ভাইদের সঙ্গে ভালো মিশতে পারেননি। স্বামীর থেকেও আলাদা থাকতেন।
ফ্রিজে ১৯ দিন দেহের টুকরো!
২রা সেপ্টেম্বর থেকে মহালক্ষ্মীর মোবাইলও বন্ধ ছিল। তা সত্ত্বেও ২১শে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ ১৯ দিন পর্যন্ত তাঁর পরিবারের সদস্যরা মহালক্ষ্মীর কথা জানতে পারেননি। ২১শে সেপ্টেম্বর মহালক্ষ্মীর ঘর থেকে দুর্গন্ধ এলে বাড়িওয়ালা তার মাকে ডেকে আনলে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। অনুমান করা হয় যে দেহের টুকরোগুলি প্রায় ১৯ দিন ফ্রিজে ছিল। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই-তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।