ভারতের এয়ারলাইনের ইতিহাসে বড় বিপর্যয়! ইন্ডিগো একদিনে তার ৪০০ ফ্লাইট বাতিল করেছে

Published : Dec 06, 2025, 01:29 PM IST
Indigo cancels 400 flight

সংক্ষিপ্ত

শনিবার ইন্ডিগো একদিনে ৪০০টিরও বেশি ডোমেস্টিক ফ্লাইট বাতিল করে, যার ফলে দেশজুড়ে বিমানবন্দরগুলিতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পাইলটের অভাব এবং অপারেশনাল সমস্যাকে এই বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে।

শনিবার ভারতের এয়ারলাইনের ইতিহাসে একটি বড় ধরনের বিপর্য য়ের দিন। না কোনও দুর্ঘটনা নয়। এয়ার লাইন সংস্থা ইন্ডিগো একদিনে ৪০০ টিরও বেশি ডোমেস্টিক ফ্লাইট বাতিল করে। দেশের বৃহত্তম বিমান সংস্থা নেটওয়ার্কে এই আকস্মিক বিপর্যয় লক্ষ লক্ষ যাত্রীর ঝঞ্জাট আরও বাড়িয়ে তুলেছে। বিমানবন্দরে দীর্ঘ লাইন, ক্ষুব্ধ যাত্রী এবং ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা - একই বিশৃঙ্খলা সর্বত্র স্পষ্ট ছিল। ইন্ডিগো সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধুমাত্র একটাই শব্দ "আমরা দুঃখিত" বার্তা জারি করেছে, কিন্তু এই সমস্যা কীভাবে দ্রুত সমাধান হবে সেই প্রশ্নটি এখনও যাত্রীদের বিরক্ত করছে।

দেশের বৃহত্তম বিমান সংস্থা নেটওয়ার্ক কেন থমকে গেল?

সূত্র অনুসারে, গত কয়েকদিন ধরে ইন্ডিগোর অপারেশনাল সমস্যা নীরবে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এয়ারলাইনটি প্রতিদিন ২,৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করে এবং ৪০০ টিরও বেশি বিমান রয়েছে। এত বড় নেটওয়ার্কে পাইলট সমস্যার প্রভাব একটি চেইন রিঅ্যাকশনের মতো ছড়িয়ে পড়ে। বলা হচ্ছে যে পাইলটের অভাব, পরিকল্পনার ত্রুটি এবং হঠাৎ অপারেশনাল চাপ কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পুরো সিস্টেমকে থামিয় দেয়। প্রতিবেদন অনুসারে, প্রথম দিন থেকেই সমস্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল, কিন্তু বিমান সংস্থাটি যাত্রীদের সঠিক তথ্য সময় মতো দিতে ব্যর্থ হয়েছিল।

 

 

কোন বিমানবন্দরগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল?

দেশের প্রায় সমস্ত প্রধান বিমানবন্দর এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।

সর্বাধিক ফ্লাইট বাতিল:

বেঙ্গালুরু: ১২৪টি ফ্লাইট

মুম্বাই: ১০৯টি ফ্লাইট

দিল্লি: ১০৬টি ফ্লাইট

এছাড়াও,

হায়দরাবাদ: ৬৯টি

পুনে: ৪২টি

চেন্নাই: ৩০টি

আহমেদাবাদ/এএমডি: ১৯টি

যাত্রীদের ভিড় এবং ক্ষোভ সর্বত্র বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকেই বলেছেন যে তারা কোনও বার্তা, ইমেল বা অন-গ্রাউন্ড তথ্য পাননি।

 

বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রীর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু বলেছেন যে পরিস্থিতি "সমাধানের দ্বারপ্রান্তে"। তাঁর মতে, দিল্লি, মুম্বাই এবং চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো বিমানবন্দরগুলিতে জমে থাকা বিমানের জট উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আজ রাতের মধ্যে অন্যান্য বিমানবন্দরেও পরিস্থিতির উন্নতি হবে। ইন্ডিগো আগামীকাল সীমিত ধারণক্ষমতায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করবে। পূর্ণ ধারণক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে কয়েক দিন সময় লাগবে, তবে আজ থেকে যাত্রীরা স্বস্তির অভিজ্ঞতা লাভের আশা করতে পারেন।

এটি কি সিস্টেমের ব্যর্থতা নাকি যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সমস্যাটি কেবল একটি অপারেশনাল সমস্যা ছিল না, বরং যোগাযোগের ব্যর্থতাও ছিল। দুর্বল পরিকল্পনা এবং সময়োপযোগী তথ্য যাত্রীদের কাছে পৌঁছানো, যা একটি ছোটখাটো অপারেশনাল সমস্যাকে একটি বড় জাতীয় সমস্যায় পরিণত করেছে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

কেন ২০ ডিসেম্বর মোদী নদিয়ার রাণাঘাটে জনসভা করবেন? জানালেন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়
LIVE NEWS UPDATE: ভারতের এয়ারলাইনের ইতিহাসে বড় বিপর্যয়! ইন্ডিগো একদিনে তার ৪০০ ফ্লাইট বাতিল করেছে