বিহারের ইমামগঞ্জে জিতেন্দ্র পাসোয়ান, বেলাগঞ্জে মহম্মদ আমজাদ, রামগড়ে সুশীলকুমার সিংহ, তারারিতে কিরণ সিংহকে প্রার্থী করেছিল প্রশান্ত কিশোরের রাজনৈতিক দল জন সুরাজ।
ভোট কুশলী হিসেবে ভারত জোড়া সুনাম প্রশান্ত কিশোরের। নরেন্দ্র মোদীর সাফল্যের পিছনে তাঁর অবদনা সোনার অক্ষরে লেখা রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট সাফল্যের পিছনে তাঁর অবদান ভোলার নয়। ২০২১ সালের নির্বাচন থেকেই এই রাজ্যে ভোটের কৌশল নির্ধারণ করে প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থা আইপ্যাক। এছাড়াও একাধিক রাজ্যে প্রশান্ত কিশোর সাফল্যের সঙ্গে সরকার গঠনে সাহয্য় করেছে একাধিক রাজনৈতিক দলকে। কিন্তু নিজের রাজ্যে ডাঁহা ফেল প্রশান্ত কিশোর। বিহারের উপনির্বাচনে চারটির মধ্যে একটিতেও জিতে পরেনি প্রশান্ত কিশোরের রাজনৈতিক দল।
বিহারের ইমামগঞ্জে জিতেন্দ্র পাসোয়ান, বেলাগঞ্জে মহম্মদ আমজাদ, রামগড়ে সুশীলকুমার সিংহ, তারারিতে কিরণ সিংহকে প্রার্থী করেছিল প্রশান্ত কিশোরের রাজনৈতিক দল জন সুরাজ। জেতা তো দূরের কথা চার জনেরই জমানত জব্দ হয়েছেছ। তাই নিজের রাজ্যেই সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয়েছে প্রশান্ত কিশোরকে। বিহারে গুঞ্জন, নিজের রাজ্যেই ভোট কৌশল কাজে লাগাত পারলেন না ভোট কুশলী।
গত ২ অক্টোবর প্রশান্ত কিশোরের রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছিল। বিহারের পাটনায় বড় করে নিজের রাজনৈতিক দলের পথ চলা শুরু করেছিলেন। যদিও তার আগে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। যদিও অনেক দিন ধরেই প্রশান্ত কিশোর নিজের রাজনৈতিক দল তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। যদিও যেদিন নিজের রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রশাক করেছিলেন সেদিনই তিনি দাবি করেছিলেন যে তাঁর দল ভোটে লড়াই করলে নীতিশ কুমারের দল ২০টির বেশি আসন পাবে না। কিন্তু প্রথম নির্বাচনেই মুখ থুবড়ে পড়ল তাঁর রাজনৈতিক দল। উপনির্বাচনে বিহারে বিজেপির জয়জয়াকার। চারটি কেন্দ্রেই সরকারি দলের রবরবা। দুটি আসন পেয়েছে বিজেপি। একটি নীতিশ কুমারের দল। অন্যটি সরকার ঘনিষ্ট দলের দখলে।
বেলাগঞ্জে মহম্মদ আজাদ পেয়েছেন ১৭,২৮৫ ভোট। সেখানে জয়ী জেডিইউ প্রার্থী মনোরমা দেবী পেয়েছেন ৭৩,৩৩৪ ভোট। ইমামগঞ্জে জিতেন্দ্রকে প্রার্থী করেছিলেন প্রশান্ত। তিনি ৩৭,১০৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। এই আসনে জয়ী হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতনরাম মাঝিঁর পুত্রবধূ দীপা মাঝিঁ। তিনি ৫৩,৪৩৫ ভোট পেয়েছেন। রামগড়ে জন সুরাজের সুশীলকুমার ৬,৫১৩ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন। বিজেপির অশোককুমার সিংহ ৬২,২৫৭ ভোট পেয়ে এই আসনে জয়ী হয়েছেন। তারারি আসনে জন সুরাজের কিরণ পেয়েছেন ৫,৫৯২ ভোট। এই আসনে বিজেপির বিশাল প্রশান্ত ৭৮,৫৬৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।