
পাটনা: বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এর ফলাফলে দুটি আসন এমন ছিল, যা পুরো রাজ্যের নজর কেড়েছে। একটিতে উত্তেজনা ছিল চরমে, তো অন্যটিতে জয়ের ব্যবধান এতটাই বড় ছিল যে ফলাফল আসতেই ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যায়। একদিকে সন্দেশ বিধানসভা আসনে মাত্র ২৭ ভোটের সাসপেন্স ছিল, অন্যদিকে রূপৌলিতে ৭৩,০০০-এর বেশি ভোটের ঝড় দেখা গেছে। এই দুটি ফলাফল প্রমাণ করেছে যে বিহারের রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সবসময় একরকম হয় না। কোথাও এক-একটি ভোটে হার-জিত নির্ধারিত হয়, আবার কোথাও জনাদেশ ঝড়ের মতো বয়ে যায়।
সন্দেশ বিধানসভা আসনে জেডিইউ-এর রাধাচরণ শাহ এবার সবচেয়ে কম ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। তিনি আরজেডি-র দিপ্পু সিংকে মাত্র ২৭ ভোটে হারিয়েছেন। মোট ভোটের কথা বললে, রাধাচরণ শাহ ৮০,৫৯৮টি ভোট পেয়েছেন, যেখানে তাঁর প্রতিপক্ষ দিপ্পু সিং ৮০,৫৭১টি ভোট পান। এই ব্যবধান এতটাই কম ছিল যে নির্বাচন কমিশনের প্রতিটি আপডেটে মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত দুই শিবিরেই উত্তেজনা ও আশা একসঙ্গে চলছিল। অবশেষে, ২৭ ভোটের জয় এই আসনটিকে বিহারের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পরিণত করেছে। এটি রাধাচরণ শাহের টানা দ্বিতীয় জয়, যা তাঁর স্থানীয় প্রভাবকে আরও শক্তিশালী প্রমাণ করে।
এর ঠিক উল্টো চিত্র দেখা গেছে রূপৌলি বিধানসভায়, যেখানে জেডিইউ-এর কালধার প্রসাদ মণ্ডল নির্বাচনের সবচেয়ে বড় ব্যবধান তৈরি করেছেন। তিনি আরজেডি-র বীমা ভারতীকে ৭৩,৫৭২-এর বেশি ভোটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। কালধার মণ্ডল মোট ১,১৮,০০০-এর বেশি ভোট পেয়েছেন, যেখানে বীমা ভারতী মাত্র ৪৪,৪২৮ ভোটে সীমাবদ্ধ ছিলেন। এই ব্যবধান এতটাই বিশাল ছিল যে ফলাফল ঘোষণার আগেই এই আসনে জয়-পরাজয়ের অনুমান স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। রূপৌলির এই জয়কে পুরো নির্বাচনের সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং একতরফা জয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যেখানে জেডিইউ-এর শক্তিশালী জনসমর্থন স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
এই দুটি আসনের ফলাফল বিহার নির্বাচনের বৈচিত্র্য এবং ভোটারদের পরিবর্তনশীল মানসিকতাকে কার্যকরভাবে তুলে ধরেছে। একদিকে অত্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই প্রতিটি ভোটের গুরুত্বের বার্তা দিয়েছে, অন্যদিকে বড় ব্যবধানের জয় রাজনৈতিক তরঙ্গের শক্তি দেখিয়েছে।