প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তেরঙ্গা উত্তোলন করেন। রাজ্যপাল রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আরলেকার ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।
বিহারের রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্যেই প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রাজভবনে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। 'INDIA' জোটের অংশীদারদের সাথে সমীকরণ খারাপ হওয়ার পরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার প্রাক্তন বন্ধু বিজেপি নেতৃত্বাধীন শিবির এনডিএ-তে ফিরে আসতে পারেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তেরঙ্গা উত্তোলন করেন। রাজ্যপাল রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আরলেকার ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। কিন্তু রাজভবনে যখন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, তখন তাতে উপস্থিত ছিলেন জেডিইউ নেতারা। আরজেডি পক্ষ থেকে শুধুমাত্র নতুন শিক্ষামন্ত্রী অলোক মেহতা অংশ নিলেও তিনি কোনো বিবৃতি দেননি। চা অনুষ্ঠানের মাঝখানে তিনি সেখান থেকে চলে যান।
সেখান থেকে আরজেডি নেতা এবং ডেপুটি সিএম তেজস্বী যাদবের অনুপস্থিতি একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এখন জেডিইউ এবং আরজেডির মধ্যে দূরত্ব অনেক বেড়েছে। এদিকে আরজেডি বিধায়কদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি আরজেডি বিধায়কদের বৈঠক হবে। দুপুর ১টা থেকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর বাসভবন ১০ সার্কুলার রোডে জড়ো হবেন RJD বিধায়করা। এই বৈঠকে বিহারের ভবিষ্যৎ কৌশল ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে।
একই সঙ্গে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুশীল মোদি বলেছেন, রাজনীতিতে কোনো দরজা চিরতরে বন্ধ থাকে না। সময় হলে সব তথ্য পাওয়া যাবে। কী পরিস্থিতি তৈরি হয়, কী সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি? দরজা প্রয়োজন অনুযায়ী খোলা এবং বন্ধ রাখা রাখা। আমাদের একটু অপেক্ষা করা উচিত।
বিজেপি সূত্র জানিয়েছে যে জেডি(ইউ)-এর তাদের জোটে যোগদান নিশ্চিত করবে যে বিহারের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ বিশাল জয় পাবে। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে, এনডিএ বিহারে ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৯টি জিতেছিল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।