আগামী পাঁচ বছর কার হাতে থাকবে রাজপাট, আর কয়েক ঘণ্টা পরেই রায় দেবে বিহার। তবে অধিকাংশ এক্সিটপোলের রায় অনুযায়ী এগিয়ে রয়েছে বিরোধী শিবির। কিন্তু শাসক শিবির সেই এক্সিটপোলের রায় মানতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে গতকালই ৩১ বছরের জন্মদিন উদযাপন করেছে বিরোধী শিবিরের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব। কংগ্রেস, আরজেডিসহ বামদলগুলির নেতা তিনি। আর অই মুহূর্তি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেডিং হয়ে রয়েছেন। ট্যুইটারে একের পর এক মানুষ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বার্তা দিয়েছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে লোক জনশক্তি পার্টির নেতা চিরাগ পাসোয়ানেরও। ভোটযুদ্ধে এনডিএর সঙ্গে থাকলেও যিনি নীতিশ কুমারের কট্টর বিরোধী। আর সেই বিরোধিতা থেকেই তিনি বিহারের ভোট ময়দানে একলা লড়াই করছেন।
শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়। বিহারের অলিগলি ছেয়ে গেছে লালুপ্রসাদ যাদবের ছোট ছেলেন পোস্টার আর ব্যানারে। আর ভবিষ্যতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে তাঁকে। তাঁর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান হয়েছে সেই পোস্টার আর ব্যানারে। যা ভোট গণনার আগে বিরোধী শিবিরের একটি বড় প্রাপ্তি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবিরগুলি। কারণ ভোট গণনা কেন্দ্রে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করবে। নীতিশ কুমারের জমানার বেকারিকেই ভোট প্রচারে নিশানা করেছিলেন তিনি। পাল্টা ১০ লক্ষ সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি। তাই বিহারের তরুণ যুব আর ছাত্র সমাজ তাঁকেই সমর্থন করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।বিহারের ৪৫ শতাংশ যুব ভোটার।
তবে বিরোধী শিবিরের এই বার্তা মানতে নারাজ শাসক দল। কারণ নীতিশ কুমারই আগামী দিনে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলেও দাবি করেছে বিজেপি আর জেডিইউ জোট। আগামী দিনে এনডিএর হাতেই থাবকে বিহারের রাজপাট, মুখ্যমন্ত্রী হবেন নীতিশ কুমার। তেমনই দাবি করছে শাসকদল। বুথ ফেরত সমীক্ষাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তাঁরা।