খোলা ময়দানে হবে মুখ্যমন্ত্রীর বিচার - ভারতের রাজনীতিতে 'বিপ্লব' ঘটালেন অভিমানী বিজেপি নেতা

ব্যালটে নয়, খোলা ময়দানে মুখ্যমন্ত্রীর ভাগ্য বিচার

ভারতের কোনও রাজ্যে এমন ঘটনা হয়নি

অভূতপূর্ব কাণ্ডই ঘটাতে চলেছেন বিপ্লবকুমার দেব

কিন্তু কেন বৈপ্লবিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

 

amartya lahiri | Published : Dec 9, 2020 5:22 AM IST

খোলা ময়দানে জনগণ নির্ধারণ করবেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাগ্য। ভারতের কোনও রাজ্যে এখনও পর্যন্ত এমন ঘটনা দেখা যায়নি। সেই অভূতপূর্ব কাণ্ডই ঘটাতে চলেছেন ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী  বিপ্লবকুমার দেব। বিতর্কিত এই বিজেপি নেতা ঘোষণা করেছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকবেন কি থাকবেন না, তা আগামী ১৩ ডিসেম্বর জনগণই ঠিক করবে। তাদের প্রতিক্রিয়াই ত্রিপুরার বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের ভবিষ্যত ঠিক করবে।

বস্তুত, ত্রিপুরার বিজেপি নেতাদের একাংশের মধ্যে বিপ্লব কুমার দেব-কে ঘিরে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। ক্রমশ, 'বিপ্লব হটাও, বিজেপি বাঁচাও' স্লোগান হালে পানি পাচ্ছে ত্রিপুরায়। গত কয়েকদিনে বিপ্লব দেব-কে ঘিরে তৈরি হওয়া নাটক একেবারে ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছে গিয়েছে। গত রবিবারই এই অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে রাজ্যে সফরে এসেছিলেন ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বিনোদকুমার সোনকার। তাঁর সফর চলাকালীনই বিপ্লব দেব-কে অপসারণের চেষ্টা করেন কিছু দলীয় কর্মী, এমনটাই জানা গিয়েছে বিজেপি সূত্রে। তবে সোনকার পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছিলেন, রাজ্য বিজেপি-তে কোনও ঝামেলা নেই। সবকিছু ঠিকই আছে।

Latest Videos

দলীয় কর্মীদের এই আচরণেই বড় অভিমান হয়েছে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেছেন, সম্প্রতি রাজ্য অতিথিশালায় কিছু লোক 'বিপ্লব হটাও, ত্রিপুরা বাঁচাও' স্লোগান দিয়েছে। তাতে তিনি খুবই আঘাত পেয়েছেন। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করেছিলেন ত্রিপুরার মানুষ। সেই জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। সেই জনতাই তাঁর অপসারণ চায় কি না, তা তিনি জানতে চান। এই কারণেই আগামী ১৩ ডিসেম্বর আস্তাম্বল ময়দানে ত্রিপুরার সকল মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন - ২০২৯ পর্যন্ত তিনিই থাকছেন মসনদে, সূক্ষ্মভাবে 'মন কি বাত' বুঝিয়ে দিলেন মোদী

আরও পড়ুন - গোয়ালিয়রের রাস্তায় ভিক্ষা করছেন কানপুর আইআইটির ইঞ্জিনিয়ার, মুখে ছুটছে ইংরাজির বন্যা

আরও পড়ুন - বাবার সঙ্গে মেয়ের বিয়ে, ১৫ বছর হলে সঙ্গম - আশ্চর্য প্রথা চালু এই বাংলাদেশি উপজাতির মধ্যে

সেখানে সরাসরি তিনি জনগণের কাছে জানতে চাইবেন, তাঁরা কী চাইছেন। তাঁদের সিদ্ধান্তই তিনি শিরোধার্য করবেন। যদি ত্রিপুরা তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে না চায়, তবে তিনি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তা জানাবেন। দলে তাঁর বিরোধীদের হুশিয়ারি দিয়ে বিপ্লব বলেছেন, তিনি জনগণের পক্ষে কাজ করতে চান, তবে কোনও অবৈধ কাজ তিনি সহ্য করবেন না। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে সরকার গড়েছিল বিজেপি এবং ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা বা আইপিএফটি। দুই দলের জোট ত্রিপুরা বিধানসভার ৬০ টির মধ্যে ৪৪ টি আসন জিতেছিল। সর্বসম্মতিক্রমেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিপ্লবকুমার দেব।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘গোটা রাজ্যটাই তো থ্রেট কালচারের উপর চলছে’ অভয়া কাণ্ডের প্রতিবাদে বিস্ফোরক Sukanta Majumdar | RG Kar
কলকাতার গলি থেকে বম্বের ফুটপাত, কেমন ছিল জার্নি? দেখুন কী বললেন মিঠুন চক্রবর্তী | Mithun Chakraborty
তীব্র গরমে নেই একটাও ফ্যান-লাইট! বেহাল দশা মথুরাখণ্ড অক্ষয় চন্দ্র বিদ্যাপীঠ স্কুলের | Gosaba News
এ কেমন সন্তান! এক মুহূর্তেই মায়ের প্রাণ কেড়ে নিল ছেলে, চাঞ্চল্য এলাকায় | Today Nadia News
তীব্র তর্কাতর্কি! সুপ্রিম কোর্টে সাগর দত্ত হাসপাতাল প্রসঙ্গ | Supreme Court on Sagar Dutta Hospital