লোকসভা নির্বাচনের পর দিল্লিতে বিজেপির ১৩ জন মুখ্যমন্ত্রী ও ১৫ জন উপমুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপি। মাত্র ৩৫টি আসন পেয়েছে। তারপর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিজেপির অন্দরে। রাজ্যের দুই উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য ও ব্রজেশ পাঠক যোগীর বিরুদ্ধে একাধিক বিবৃতি দিলেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্পষ্ট করে দিয়েছে তারা এখনও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পাশেই রয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের পর দিল্লিতে বিজেপির ১৩ জন মুখ্যমন্ত্রী ও ১৫ জন উপমুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। লোকসভা ভোটের ফল নিয়েই মূলত কাটাছেঁড়া হয়। এই পর্যালোচনা বৈঠকেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যোগীর পাশেই থাকার কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে।
বিজেপি সূত্রের খবর উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য লোকসভা নির্বাচনের একটি রিপোর্ট কেন্দ্রীয় নেতাদের জমা দিয়েছেন। সেখানেই তিনি দায়ী করেছেন যোগী আদিত্যনাথকে। যদিও রাজ্য বিজেপি সভাপতি ভূপেন্দ্র সিং চৌধুরী তার সম্পূর্ণ বিপরীত রিপোর্ট জমা দিয়ে যোগীর পক্ষেই সায় দিয়েছেন। সূত্রের খবর বিজেপি নেতাদের একাংশের দাবি লোকসভা নির্বাচনে হারলেও যোগীর জনপ্রিয়তা অক্ষুন্ন রয়েছে। আর সেই কারণে যোগীর পাশে দাঁড়িয়ে কেশব প্রসাদ মৌর্য আর ব্রজেশ পাঠককে জনসমক্ষে মুখ খুলতে নিষেধ করেছে কেন্দ্রীয় নেতারা।
নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার আগে যোগী আদিত্যনাথ রাজ্য বিজেপির ফলাফল নিয়ে ২০ দিনের একটি পর্যালোচনা শিবিরের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকলেও কেশব মৌর্য ছিলেন না। পাশাপাশি তিনি সম্প্রতি যোগীর ডাকা একাধিক মন্ত্রিসভার বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন। যা নিয়ে কেশব মৌর্যকে সতর্ক করা হয়েছে বলেও বিজেপি সূত্রের খবর।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।