নোটবন্দি, জিএসটি বা রাফাল দুর্নীতি। বিরোধীদের প্রবল আক্রমণে যখনই কোণঠাসা অবস্থা হত সরকারের, পরিত্রাতা হয়ে দেখা দিতেন তিনি। ঠান্ডা মাথায়, অকাট্য যুক্তিতে বিরোধীদের যাবতীয় প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন অসংখ্যবার। শীর্ষ বিজেপি নেতা বিজয় কুমার মালহোত্রা জানাচ্ছেন, শুধু সংসদে কেন, আসলে অরুণ জেটলি বরাবরই এমনই ঠান্ডা মাথায় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রতিকূল পরিস্থিতি সামলেছেন। এমন কী, জরুরি অবস্থার সময় গ্রেফতার হয়ে জেলে থাকার সময়ও জেটলির এই গুণ চোখে পড়েছিল তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু এই প্রবীণ বিজেপি নেতার।
রবিবারই দিল্লিতে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে অরুণ জেটলির। বন্ধুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সংবাদসংস্থাকে বিজয় মালহোত্রা বলেন, 'অরুণ জেটলির মৃত্যু বিজেপি তো বটেই, গোটা দেশের কাছেই বিরাট ক্ষতি। গত তিরিশ- চল্লিশ বছর ধরে আমাদের বন্ধুত্ব ছিল। আমি ভাবতেই পারছি না যে ও এত তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে চলে যাবে। কলেজ জীবন থেকে আমি ওঁকে চিনি। দু' বার একসঙ্গে জেলে গিয়েছি আমরা। প্রথমে দিল্লি জেলে এবং পরে আম্বালা জেলে। সেখানেও দেখেছি, মাথা ঠান্ডা রেখে আত্মবিশ্বাস নিয়ে সব পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে ও।'
বিজয় মালহোত্রা জানিয়েছেন, একজন আইনজ্ঞ হিসেবেও প্রাণশক্তিতে ভরপুর ছিলেন জেটলি। নিজের পেশার সঙ্গেও কোনও সময় আপোস করতেন না জেটলি। মালহোত্রার কথায়, সবসময় দলকে কীভাবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটাই ভাবতেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- "এক বন্ধুকে হারালাম", বাহরিন সফর থেকে শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর
আরও পড়ুন- কীভাবে সামলাতে হবে দায়িত্ব, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে হাতে ধরে শিখিয়েছিলেন এই অরুণ জেটলিই
অরুণ জেটলি দলকে কতটা ভালবাসতেন তা বোঝাতে গিয়ে মালহোত্রা বলেন, 'দলের প্রতি ওর অবদান উদাহরণ হয়ে থেকে যাবে। ও কখনওই কাজের সঙ্গে আপোস করতেন না। দলের মুখপাত্র হওয়ায় আইনজীবী হিসেবে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। সবক্ষেত্রেই জেটলি ছিলেন সেরা। ওর মৃত্যু আমাদের সবার কাছেই বিরাট ধাক্কা। ইশ্বর ওর পরিবারকে এই কঠিন সময় কাটিয়ে ওঠার শক্তি দিন।'