সম্প্রতি রাজস্থানে টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট চলার কারণে একাধিক জেলায় ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা বন্ধ করে দেয় রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার। এই ঘটনাকেই তুলে ধরে ট্যুইটারে তোপ দাগে বিজেপি।
কাশ্মীরে(Kashmir) ইন্টারনেট পরিষেবা (internet service) বন্ধ করে দিলেই নরেন্দ্র মোদী সরকারের(Narendra Modi Govt) দোষ হয়, অথচ রাজস্থানে (Rajasthan) কংগ্রেস সরকার (Congress Govt) সামান্য পরীক্ষার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখলে, তা সুশাসনের পরিচয়। এই তথ্য তুলে ধরে কংগ্রেসকে খোঁচা বিজেপির। উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজস্থানে টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট চলার কারণে একাধিক জেলায় ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা বন্ধ করে দেয় রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার। এই ঘটনাকেই তুলে ধরে ট্যুইটারে তোপ দাগে বিজেপি।
বিজেপির প্রশ্ন জাতীয় নিরাপত্তা ও সুরক্ষার স্বার্থে যখন কেন্দ্রের মোদী সরকার কাশ্মীর উপত্যকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়, তখন তা নিয়ে চরম জলঘোলা করে কংগ্রেস। কাশ্মীর নিয়ে ছেলেখেলা করা হচ্ছে এবং কাশ্মীরিদের মানবাধিকার নষ্ট করা হচ্ছে বলে দাবি করে কংগ্রেস। অথচ অক্টোবর মাসের শুরুতে টেট পরীক্ষার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল রাজস্থানের অশোক গেহলট সরকার। সে ব্যাপারে কোনও জবাব নেই হাত শিবিরের। তখন তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে কেন পড়ে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।
উল্লেখ্য, রাজস্থান টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট থাকার কারণে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গেহলট সরকার এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত রাজস্থানের আজমের, আলওয়ার, দওসা, ঝুনঝুনু ও জয়পুর জেলায় এসএমএস ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। টুকলি রুখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়। প্রশাসন জানায়, রাজস্থানে প্রায় তিন বছর পরে টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট হচ্ছে। আর এই জন্য খুবই সতর্ক ভূমিকা পালন করা হয়েছে।
রাজস্থান সরকার জানায় কোনও সরকারি কর্মীকে যদি প্রশ্ন ফাঁস অথবা পরীক্ষাকেন্দ্রে বেআইনি কাজ করতে ধরা হয় তবে তাঁকে আজীবনের জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। এছাড়াও কোন বেসরকারি স্কুল থেকে যদি কোন ভাবে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার খবর আসে তবে সেই স্কুলের স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়া হবে। এই সতর্কতাকেই কটাক্ষ করে বিজেপি। তাদের দাবি কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্বতোভাবে চেষ্টা করছে কেন্দ্র সরকার। ৩৭০ ধারা বিলোপ হওয়ার পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোটা উপত্যকায় কার্ফু জারি করা হয়। একই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা। সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকার জানায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের আক্রমণ প্রতিহত করতে ও বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিকে রুখতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
গতবছর অগাস্ট মাসে কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল, জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট পুনরুদ্ধারের বিষয়টি তদন্তকারী একটি বিশেষ কমিটি খতিয়ে দেখছে। একই সঙ্গে ফোরজি ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারপরই ১৬ অগাস্ট গান্ডারবাল ও উধমপুর জেলায় ফোরজি ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। বাকি জেলাগুলিতে ইন্টারনেটের গতি ২জিতে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে এই বিষয়টিকে মোটেও ভালো চোখে দেখেনি কংগ্রেস। তাদের দাবি ছিল কাশ্মীরিদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।