আবারও বিকর্তে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি নাকি বিহারী গুন্ডা বলে ডেকেছেন। অভিযোগ করেছেন নিশিকান্ত দুবে।
আবারও বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ সংসদের অভিযোগ চলাকালীন তাঁকে তিন তিনবার 'বিহারী গুন্ডা' বলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল সাংসদ।
দেশে করোনার এপিক সেন্টার কি এটাই, মোট আক্রান্তের ৫০ শতাংশই এই রাজ্যের
নিশিকান্ত দুবে অত্যান্ত হতাশ হয়ে জানিয়েছেন এজাতীয় মন্তব্য তিনি জীবনেও শোনেননি। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস হিন্দিভাষী মানুষদের পছন্দ করে না। তাই তাঁরা তাঁকে বিহারী গুন্ডা বলেছে। এজাতীয় মন্তব্য বিহারের বাসিন্দাদের ভাবাবেগকে আঘাত করবে। তিনি আরও বলেছেন সমস্ত অভিযোগ লিখিত আকারে স্পিকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে মহুয়া মৈত্রর ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলেও মন্তব্য করতে নিশিকান্ত দুবে। বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন সাংসদ হিসেবে ১৩ বছর তিনি কাটিয়েছেন সাংসদে। কিন্তু কোনও দিনই এজাতীয় মন্তব্য মুখোমুখি হতে হয়নি তাঁকে। তাঁকে বিষয়টি নিয়ে তিনি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। তিনি আরও বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সাংসদ তাঁকে যেভাবে বিহারী গুন্ডা বলে ডেকেছেন তা কখনই সংসদের মধ্যে কাম্য নয়। উত্তর প্রদেশ-মধ্যপ্রদেশের হিন্দিভাষী মানুষজন কঠোর পরিশ্রম করে। শ্রমিকের কাজ করে। কিন্তু এজাতীয় মন্তব্যে তিনি অভ্যস্ত নন বলেও জানিয়েছেন।
এখানেই থেমে থাকেননি বিজেপি সাংসদ। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে টুইটারে একটি বার্তা দেন। সেখানে তিনি বলেন' আপনার সাংসদ যেভাবে বিহারী সাংসদ বলে আমাকে আক্রমণ করেছে তাতে হিন্দিভাষী মানুষদের প্রতি আপনার দলের বিদ্বেষ আবারও দেশের সামনে এসেছে।'
২০ বছরের আইনি বিবাদ একলহমায় শেষ, মুখ্যভূমিকায় দেশের প্রধানবিচাপতি
আফগানিস্তান ইস্যুতে ইমরান খানের 'গুগলি', তালিবানরা নাকি সাধারণ নাগরিক
যদিও পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। তিনিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেন, এজাতীয় মন্তব্য তিনি করেননি। একই সঙ্গে তিনি বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, সদস্যরা উপস্থিত না থাকায় আইটি সভা হয়নি। তাই তিনি কীভাবে এমন মন্তব্য করতে পারেন- তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তাঁর টুইটে শশী থারুর, কার্তি চিদম্বরম ও নারিস হুসেনের মত কংগ্রেস নেতাদের ট্যাগ করেছেন। একই সঙ্গে তিন ট্যাগ করেন তৃণমূল সাংসদ নাদিমূল হককে।
যদিও বিহারী গুন্ডা ইস্যু নিয়ে বিরোধীদের মধ্যেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেছেন এজাতীয় মন্তব্য থেকে সকলেই বিরত থাকা জরুরি। গতকালি আইটি বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি সাংসদরা তা বয়কট করেছিলেন। তাঁরা স্বাক্ষরও করেননি। আইটি প্যানেলের বিতর্ক বাড়িয়ে শশী থারুরকে প্রধান পদ থেকে সরানোর দাবি তুলেছেন নিশিকান্ত দুবেরা।