মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে খুন হন বিজেপি নেতা দেশপাল খোকরে। আর এর মধ্যেই তাঁকে মেরে ফেলা হবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন উন্নাওয়ের বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদের অভিযোগ পাকিস্তানের একটি নম্বর থেকে তাঁর কাছে হুমকি ফোন এসেছে। যেখানে তাঁকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে তাঁর বাসভবনটি বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন উন্নাওয়ের বিজেপি সাংসদ। উন্নাওয়ের এসপিকে সাক্ষী মহারাজ জানিয়েছেন, পাকিস্তানি নম্বর থেকে তাঁকে দু'বার ফোন করা হয় সোমবার। ফোনের ওপাশ থেকে বলা হয় তাঁর বাড়িতে বোম মারা হবে। বিজেপি সাংসদের দাবি তাঁকে হুমকি ফোনে বলা হয় , ‘মহম্মদ গফ্ফরকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে সাহায্য করে তুমি নিজের মৃত্যু আমন্ত্রণ করে এনেছো।' পাকিস্তানি নম্বর থেকে আসা ফোনে সাক্ষী মহারাজ ও তাঁর সঙ্গীকে দশদিনের মধ্যে খুন করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে সাংসদ সচ্চিদানন্দ হরি সাক্ষী মহারাজ জানান, তাঁর কাছে সোমবার বিকেল ৪টে ২৪ ও ৪টে ২৬ মিনিটে দুটি ফোন আসে। সাক্ষী মহারাজকে ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি আরও জানায় যে তাঁর ওপর মুজাহিদিনের ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রয়েছে এবং সুযোগ এলেই তাঁকে খুন করা হবে। বিজেপি সাংসদের গতিবিধি সবই জানে তাদের লোকজন। সাংসদ তাঁর অভিযোগে আরও জানিয়েছেন যে ওই ব্যক্তি বিজেপি ও আরএসএসের বহু নেতার নাম নিয়ে আপত্তিকর কথা বলে।
সাক্ষী মহারাজ তাঁর অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন যে ওই ব্যক্তি হুমকি দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের নামও নিয়েছিল। তাঁদেরও খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিজেপি সাংসদ আরও জানান যে ওই ব্যক্তি গজওয়া-ই-হিন্দ নামে ভারতে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করার কথাও জানায়। পাশাপাশি কাশ্মীর খুব শীঘ্রই পাকিস্তানের অংশ হতে চলেছে বলেও ফোনের ওপার থেকে দাবি করা হয়।
তবে এই প্রথম নয়, আগেই একাধিকবার হুমকি ফোন পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন সাক্ষী মহারাজ। উন্নাওর বিজেপি সাংসদকে এর আগে ২০১৭ সালে মার্চ এবং ২০১৮ সালের নভেম্বরে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে, সাংসদ এই বিষয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এরপর ২০১৮ সালে, উন্নাওয়ের এসপির কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছিলেন। সাংসদ দাবি করছেন, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের কাজ শুরু হতেই সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে।
রাম জন্মভূমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সাক্ষী মহারাজ। সেই কারণেই মন্দির ভূমি পুজো হতেই তাঁর কাছে একের পর এক হুমকি ফোন আসছে বলে অভিযোগ করছেন উন্নাওয়ের সাংসদ। ইতিমধ্যে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান বিজেপির এই সাংসদ। ইতিমধ্যে তার নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উন্নাওয়ের এসপি রোহন পি কনায়।