মধ্যপ্রদেশে রাজ্যপালের দ্বারস্থ বিজেপি, দলবদলে অমিত-রাজনাথের সঙ্গে দেখা জ্যোতিরাদিত্যর

  • দলবদলের পর নিজের রাজ্যে জ্যোতিরাদিত্য
  • দিল্লি ছাড়ার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ
  • মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার এখনও সংকটে
  • আস্থাভোট চেয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ শিবরাজরা

Asianet News Bangla | Published : Mar 12, 2020 8:22 AM IST / Updated: Mar 12 2020, 01:55 PM IST

কংগ্রেসের সঙ্গে ১৮ বছরের সম্পর্ক ছেদ করেছেন সদ্য। বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে বুধবারবারই গেরুয়া পতাকা হাতে নিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সেদিন রাতেই দলবদলের পুরস্কার জুটেছে তাঁর। মধ্যপ্রদেশ থেকে সিন্ধিয়াকেই রাজ্যসভার সাংসদ করার কথা ঘোষণা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কেবল সাংসদ পদ নন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হতে চলেছেন সিন্ধিয়া। দলবদলের পর বৃহস্পতিবার নিজের রাজ্য মধ্যপ্রদেশে আসেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তার আগে অবশ্য দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। 

 

জ্যোতিরাদিত্যের সঙ্গে দেখা করার পরই ট্যুইট করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। লেখেন, "জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে দেখা হল। বিজেপিতে তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি। তাঁর অন্তর্ভুক্তি দলকে আরও শক্তিশালী করবে। শুভেচ্ছা রইল।" 

এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসা জ্যোতিরাদিত্য।

 

 

এদিকে জ্যোতিরাদিত্যের দল ছাড়া এখনও কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না আরেক তরুণ কংগ্রেস নেতা তথা রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট। একরাশ আফসোস ঝরে পড়েছে তাঁর ট্যুইট। সচিন লিখেছেন, "জ্যোতিরাদিত্যের কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক। আমার মনে হয়, সমস্ত কিছু ঠিক হতে পারত যদি সবাই মিলে বসে সমস্যার সমাধান হতে পারত পার্টির মধ্যেই।" রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে সচিনের সম্পর্কও খুব একটা ভাল নয় তা জানে বিজেপি শিবির। এই অবস্থায় জ্যোতিরাদিত্যের মত সচিনের ক্ষোভকেও বিজেপি কাজে লাগাতে মরিয়া হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। 

আরও পড়ুন: অভিমানে হাত ছেড়েছেন জ্যোতি, ছবি রিট্যুইট করে স্মৃতি বিজড়িত রাহুল

এদিকে হোলির ছুটি কাটিয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশে ফিরছেন রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন। এদিন রাতেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহ্বান। ইতিমধ্যে ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন বলে দাবি করছে গেরুয়া শিবির। এই অবস্থায় আগামী ১৬ মার্চ বিধানসভায় আস্থাভোট চাইছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: বিশ্বে মহামারীর আখ্যা করোনাকে, জেনে নিন কেন এপিডেমিক না হয়ে প্যানডেমিক হল কোভিড-১৯

আগামী ১৬ মার্চ মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় বাজেট সেশন শুরু হচ্ছে। সংখ্যালঘু সরকার রাজ্যের বাজেট পেশ করতে পারে না বলে দাবি তুলেছে বিজেপি। সেকরাণে ১৬ মার্চ আস্থাভোট দাবি করছে গেরুয়া শিবির। যদিও ১৯জন বিধায়কের পদত্যাগের বিষয়িটি ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত স্পিকারের পক্ষে আস্থা ভোটের দিন ঘোষণা সম্ভব নয়।  

Share this article
click me!