
গত ২ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল কিশোরী। শেষে সোমবার বীভৎস অবস্থায় বাড়ির পাশেই একটি বাগান থেকে উদ্ধার হল তার নিথর দেহ। গলা ফালা করে কাটা, হাত-পা ভাঙা, নাকের ভিতরে ঠুসে দেওয়া বালি। তারপর দেওয়া হয়েছে আঠা। কিশোরীর পরিবারের দাবি, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বাহারইচে। এই ঘটনার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সর্বত্র।
সূত্রের খবর, কিশোরীর ভাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। গোটা ঘটনার পিছনে তিনটি ছেলের হাত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে। তারাই তাঁর বোনকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল।
চলছে ঘটনার তদন্ত। কিশোরীর ওপর যে হারে অত্যাচার করা হয়েছিল, তা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে তার শরীরে থাকা ক্ষত দেখে। হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। নাকে ভিতরে মিলেছে বালি ও আঠা। যাতে সে শ্বাস নিতে না পারে তাই এমন করা হয়েছে বলে অনুমান। এরপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে চিরে দেওয়া হয়েছিল কিশোরীর গলা। তদন্তকারীদের দাবি, ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে, কিশোরীর পরিবারের দাবি তার ওপর যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বাহরাইচের মিহিপুরওয়ার সার্কেল অফিসার হর্ষিতা তিওয়ারি জানিয়েছেন, ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামালা দায়ের হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিভিন্ন দিক থেকে অপরাধের পিছনের কার্যকারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সর্বত্র। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শিহোরিত সকলে। কিশোরীর নাকে বালি ভরে আঠা দেওয়া। গলা কেটে ভাঙা হয়েছে হাত-পা। ফেলে রেখে দেওয়া হয় তারই বাড়ির পাশে বাগানে। জানা গিয়েছে, প্রায় ২ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল সে। শেষে তারই বাড়ির পাশের বাগান থেকে উদ্ধার হল দেহ। বর্তমানে চলছে তদন্ত এখন দেখার কবে আসল দোষীদের শাস্তি হয়।