গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে ঘন কুয়াশার মধ্যে সীমান্ত গ্রামের বারেকার মাঠে হেরোইনের প্যাকেট ফেলে পাকিস্তান থেকে আসা ড্রোনটি ফিরছিল। সীমান্তে টহলরত বিএসএফ জওয়ানরা ড্রোনের শব্দ শুনে ছয়টি গুলি চালায়।
ফের ভারত সীমান্তে পাকিস্তানের দিক থেকে আসা ড্রোন। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ সেটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পাক ড্রোনটিকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি ছোড়ে বিএসএফ। পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ তল্লাশি অভিযানে সীমান্ত গ্রামের বারেকার মাঠ থেকে তিন প্যাকেট হেরোইনসহ একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হয়েছে ১৩ কোটি টাকা মূল্যের দুই কেজি ৬৫০ গ্রাম হেরোইন। তল্লাশি দলটি স্নিফার ডগের সাহায্যে সন্দেহের ভিত্তিতে এক ব্যক্তিকে আটক করে ওই হেরোইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ঘটনাটি বিএসএফের আবহার সেক্টরের ফাজিলকার বারেকা গ্রামের।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে ঘন কুয়াশার মধ্যে সীমান্ত গ্রামের বারেকার মাঠে হেরোইনের প্যাকেট ফেলে পাকিস্তান থেকে আসা ড্রোনটি ফিরছিল। সীমান্তে টহলরত বিএসএফ জওয়ানরা ড্রোনের শব্দ শুনে ছয়টি গুলি চালায়। কিন্তু ড্রোন ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের সীমান্তে। রাতেই পুলিশকে খবর দেয় বিএসএফ। রাত থেকেই বিএসএফ ও পুলিশ যৌথ তল্লাশি অভিযান শুরু করে।
বৃহস্পতিবার সকালে বারেকা গ্রামে একটি ব্যাগ পাওয়া যায়। ব্যাগে একটা হুক ছিল। এর সাহায্যে ড্রোনটি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ব্যাগ খুলে তিনটি হেরোইনের প্যাকেট পাওয়া যায়। হেরোইনের ওজন দুই কেজি ৬৫০ গ্রাম। এর আনুমানিক বাজার মূল্য ১৩ কোটি টাকা। যেখানে হেরোইনের প্যাকেট পাওয়া গেছে সেখানে পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। স্নিফার ডগের সাহায্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। এখন তাকে হেরোইন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে বাড়ছে পাকিস্তান ড্রোনের কার্যকলাপ। বিশেষ করে পাঞ্জাব বর্ডারে পাকিস্থান উড়ানের ক্রমবর্ধমান কার্যকলাপ যেহারে বাড়ছে এবার তা রুখতেই এ ভারতীয় সেনাবাহিনীও ব্যবহার করবে এক বিশেষ ড্রোনের। ইতিমধ্যেই এই টেন্ডার জারি করা হয়েছে। সূত্রের খবর এই ড্রোনে থাকবে হত্যা করার ক্ষমতা। এখনও পর্যন্ত বাই ইন্ডিয়ান ক্যাটাগরির অধীনে মোট ৯ টি অত্যাধুনিক ড্রোন রয়েছে। জানা যায় উন্নত নাইট ভিসন সহ এই ড্রোন গুলি প্রযুক্তিগত ভাবে এতটাই উন্নত যে এগুলি নির্দিষ্ট তথ্য প্রেরণ করা থেকে কিছুর জন্য অনুরোধ করা সবই করতে পারে এই ড্রোনগুলি অনায়াসে।
আরএফআই-এর বিবরণ অনুসারে, অত্যাধুনিক সফটওয়্যার যুক্ত এই এই পাকিস্তানি ড্রোনগুলি এবার থেকে শত্রুদের সনাক্ত করতে পারবে। এমনকি শত্রু সনাক্ত করে তাদের হত্যাও করতে পারে। শত্রুরা কোন জায়গায় কিভাবে আছে এবং আক্রমণ হলে নিজেদের বাঁচিয়ে কিভাবে তাদের শেষ করা যায় এসব বিষয়েই পারদর্শী হবে এই ড্রোনগুলি। এই ভয়ংকর ড্রোনের থেকে বাঁচতেই লক - কার্গিলে আন্টি ড্রোন সিস্টেম জারি করলো ভারত সরকার।