
ভারতে ২০২৩ সালের সাধারণ বাজেট পেশ করা হবে বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারি। আগামী বছর, অর্থাৎ, ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে এটাই শেষ সাধারণ বাজেট। নির্বাচনী আবহে জনদরদী বাজেটের আশায় রয়েছেন সমগ্র দেশবাসী।
লোকসভা ভোটের আগে ২০২৩ সালে ছত্তীসগঢ়, কর্নাটক, তেলঙ্গনা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো ন’টি রাজ্যে বিধানসভা ভোট। নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরেও। প্রায় দশটি নির্বাচনের পরীক্ষা উতরে যেতে ২০২৩-এর সাধারণ বাজেটকে কি তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করা হবে?
দেশের ভোটার সংখ্যায় সবচেয়ে বড় অংশ মধ্যবিত্ত জনতা। সেই জনতার দিকে নজর রেখে এবছর কর দেওয়ায় ছাড় দিতে পারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। বাজেটের সূচনাকালে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, “বাজেটের মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার দিকে নজর দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। গোটা বিশ্ব এই দিকে আশার আলো দেখতে পাচ্ছে। আমার বিশ্বাস আছে, নির্মলা সীতারামন সেই আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালাবেন। গোটা বিশ্বের নজর রয়েছে ভারতের ওপর।” তাঁর বক্তব্যেই বিশেষভাবে উঠে এসেছে সাধারণ মানুষ, বা, সাধারণ ভোটারদের কথা।
মঙ্গলবার সংসদে বাজেটের আগে দেওয়া ভাষণে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বক্তব্যেও বারবার উঠে এসেছে কেন্দ্রের আসনে মোদী সরকারের প্রশাসনিক সাফল্য ও দক্ষতার কথা। বড় ভোটের আগে শেষ বাজেটকে হাতিয়ার করে সাধারণ জনতার মন জয় করাটাই মোদী সরকারের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের সাধারণ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।