CAA Case: নাগরিকত্ব আইনের ওপর স্থগিতাদেশ নয়, সুপ্রিম তিন সপ্তাহ সময় দিল মোদী সরকারকে

সুপ্রিম কোর্টে সিএএ মামলায় বিরোধীদের হয়ে উপস্থিত ছিলেন কপিল সিবাল, ইন্দিরা জয়সিং। কেন্দ্রের হয় সওয়াল করেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা।

 

Saborni Mitra | Published : Mar 19, 2024 9:57 AM IST

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ-র ওপর স্থাগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। তবে শীর্ষ আদালত কেন্দ্র সরকারকে আগামী তিন সপ্তাহের সময় দিয়েছে সিএএ নিয়ে পিটিশন দাখিল করার জন্য। কেন্দ্র সরকার সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে সময় চেয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওইয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে কেন্দ্রের সলিসিটার জেনারেল বলেছেন, 'সিএএ-র মাধ্যমে কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব কেড়েনেওয়া হবে না।' লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের কয়েক দিন আগেই সিএএ লাগু করেছে কেন্দ্র সরকার। যা নিয়েগোটা দেশেই প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তারই মধ্যে সিএএ অসাংবিধানিক এই দাবি করে আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ২৩৭টি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল।

সুপ্রিম কোর্টে সিএএ মামলায় বিরোধীদের হয়ে উপস্থিত ছিলেন কপিল সিবাল, ইন্দিরা জয়সিং। কেন্দ্রের হয় সওয়াল করেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে উঠেছিল সিএএ মামলা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ৯ এপ্রিল, অর্থাৎ লোকসভা ভোটের প্রথম দফার ঠিক দশ দিন আগে। সিএএ-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যারা আবেদন করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ , কেংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্র।

সিএএ-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যেসব পিটিশনগুলি দাখিল হয়েছিল তার শুনানি এদিন একসঙ্গে হচ্ছিল। এদিন আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে সিএএ লাগু করার ওপর স্টে-অর্ডার অর্থাৎ স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে। আবেদনকারীদের দাবি ছিল এই আইন বৈষম্যমূলক। মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থ বিরোধী।

২০১৯ সালে যখন সিএএ আইন পাশ করা হয়েছিল সেই সময়ই আইনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল অনেকে। কিন্তু সেই সময় সিএএ- নিয়মনীতি কিছুই জানায়নি কেন্দ্র সরকার। সেই কারণে সেই সময়ে এই আইনের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। গত সপ্তাহেই সিএএ- পোর্টাল চালু হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছি কী কী ভাবে এই দেশে নাগরিকত্বের জন্য আহ্বান জানানো যাবে। পাশাপাশি ধর্মের ভিত্তিতে যে নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। তাই আবারও সিএএ বিরোধীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।

Share this article
click me!