প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় প্যারাসিটামল এবং অ্যাজিথ্রোমাইসিন রয়েছে যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে ব্যবহৃত হয়। অ্যান্টিঅ্যানিমিয়া ওষুধ, ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে।
ব্যথানাশক, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি-ইনফেকশনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম ১ এপ্রিল থেকে কিছুটা বাড়বে। 'হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স' (ডাব্লিউপিআই) অনুসারে সরকার 'ন্যাশনাল লিস্ট অফ এসেনশিয়াল মেডিসিনসে'র তালিকাভুক্ত ওষুধের দাম .০০৫৫ শতাংশ বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে। যার ফলে দাম বাড়ছে ৮০০টি ওষুধের।
প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় প্যারাসিটামল এবং অ্যাজিথ্রোমাইসিন রয়েছে যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে ব্যবহৃত হয়। অ্যান্টিঅ্যানিমিয়া ওষুধ, ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। এছাড়াও, কিছু ওষুধ রয়েছে যা কোভিডের চিকিত্সায় ব্যবহৃত হয়, লক্ষণগুলি হালকা হোক বা রোগী গুরুতর কোভিড-এ ভুগছেন, সেরকম ওষুধও দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে।
এসব ওষুধের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে শিল্প সংশ্লিষ্টরা। ইন্ডাস্ট্রি বলছে, ক্রমবর্ধমান ইনপুট খরচের কারণে এখন তা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। শিল্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েক বছরে ওষুধের উপকরণের দাম ১৫ থেকে ১৩০ শতাংশ বেড়েছে। গ্লিসারিন এবং প্রোপিলিন গ্লাইকোল দ্রাবক প্রতিটি তরল প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়। তাদের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ২৬০ শতাংশ এবং ৮৩ শতাংশ। এছাড়াও, যুক্ত পদার্থের দাম ১১ শতাংশ থেকে ১৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। পেনিসিলিন জি এর দাম ১৭৫ শতাংশ বেড়েছে।
ইতিমধ্যে, ১০০০টি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত একটি গ্রুপ অবিলম্বে কার্যকর সমস্ত ফর্মুলেশনের দাম কমপক্ষে ১০ শতাংশ বাড়ানোর অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে দাবি করেছিল। এছাড়া নন-সিডিউল ওষুধের দাম ২০ শতাংশ বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়ার দাবি জানানো হয়। ওষুধের দাম যে বাড়তে পারে, এর একটা ইঙ্গিত ছিলই। স্বাস্থ্য় মন্ত্রক এ বছরের গোড়ার দিকে কিছু নির্দেশিকা দিয়েছিল। সেই নির্দেশিকা প্রকাশিত হওয়ার পরে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি তখনই দুটি বিষয়ে তাদের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। তারা বলেছিল, ওষুধের ঘাটতি হবে, এবং ওষুধের দামও বাড়বে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক যে সুপারিশগুলি করেছিল, তার সবগুলিই ওষুধের গুণমান যথাযথ রাখার দিকে তাকিয়ে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।