দিল্লি হাইকোর্ট আবারও ধমক দিল টুইটার ইন্ডিয়াকে। মঙ্গলবার টুইটারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কর্মকর্তা নিয়োগ করার জন্য যতক্ষণ ইচ্ছে সময় নিতে পারে না। টুইটারকে বৃহস্পতিবার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই ভারত ভিত্তিক অফিসার কখন নিয়োগ করা হবে তা জানানোর জন্য সময় দেওয়া হয়েছে টুইটারকে। নতুন আইটি নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্মকেই ভারতের জন্য একজন আধিকারিন নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই সেই সময়সীমা পার হয়েগেছে। তবুই টুইটার এখনও পর্যন্ত ভারতের জন্য কোনও আধিকারিক নিয়োগ করেনি। তবে দিল্লি আদালতে টুইটার জানিয়েছে,এই আধিকারিক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এটি শেষ হতে আরও দুই সপ্তাহ লাগবে।
২৮ জন যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশ থেকে উধাও রাশিয়ার বিমান, তল্লাশি শুরু করেছে প্রশাসন
বিচারপতি রেখা পল্লী শুনানির সময় কার্যত টুইটাকরে ধমক দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে কতক্ষণ সময় লাগবে? টুইটার যদি মনে করে আমাদের দেশে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে যতক্ষণ ইচ্ছে সময় নেবে- তার অনুমতি দেওয়া যাবে না। যদিও টুইটারের পক্ষ থেকে আইনজীবী সজন পূব্যায়ায়া জানিয়েছেন কর্মকর্তা নিয়োগ করতে আরও দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ, নতুন ২৮ মন্ত্রীর তালিকায় কী থাকবেন জ্যোতিদিত্য সিন্ধিয়া-শান্তনু ঠাকুররা
গত ২১ জুন পদত্যাহ করেছিলেন ধর্মেন্দ্র চতুর। তারপর থেকেই পদটি ফাঁকা ছিল। তার পর সেই শূণ্যপদে এখনও পর্যন্ত নিয়োগ করা হয়নি কেন - তাও জানতে চেয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। আদালত টুইটারের থেকে যথাযখ টাইমলাইন নেওয়ার জন্য করেরোধ করেছিলেন। আইনজাবী তার উত্তরে জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া ডায়েন্টের সদর দফতর মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানি হবে। সেই দিন বিষয়টি সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। হাইকোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়েছেন টুইটারকে কোনও সুরক্ষাকবচ দেওয়া হচ্ছে। ভারতের নিময় মেনেই তাদের চলতে হবে বলেও জানান হয়েছে।
হিন্দু-মুসলিম ভারতীয়র DNA এক, গণপ্রহারে জড়িতরা হিন্দু নয়- মন্তব্য RSS প্রধান মোহন ভাগবতের
টুইটার সোমবারই আদালতে জানিয়েছিল বিধিগুলি মেনে না চলার জন্য ইতিমধ্যেই তৃতীয় পক্ষের বিষয়বস্তু নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য টুইটার তার আইনি দায়বদ্ধতা হারাতে পারে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন আইটি আইন না মানায় কেন্দ্রের সঙ্গেও রীতিমত সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটটি। একের পর এক মামলাও দায়ের করা হয়েছে টুইটারের বিরুদ্ধে।