প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা সম্প্রসাদরণ নিয়ে জোর জল্পনা জাতীয় রাজনীতি। বর্তমানে কেন্দ্রে ৫৩ জন মন্ত্রী রয়েছে। আগামী দিনে তা বেড়ে ৮১ জন হতে পারে বলেও সূত্রের খবর। সবমিলিয়ে নতুন মন্ত্রী হিসেবে ২৮ জন শপথ নিতে পারেন বলেও সূত্রের খবর। এক্ষেত্রে সব থেকে এগিয়ে রয়েছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের পুত্র চিরাগ পাসওয়ান। দিল্লির রাজনীতিতে নাম শোনা যাচ্ছে বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা শান্তনু ঠাকুরেরও।
হিন্দু-মুসলিম ভারতীয়র DNA এক, গণপ্রহারে জড়িতরা হিন্দু নয়- মন্তব্য RSS প্রধান মোহন ভাগবতের
গত বছরই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দান করেছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সূত্রের খবর সেই সময়ই তাঁরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশের রাজ্যসভার আসন থেকে জ্যোতিরাদিত্যকে জিতিয়েও এনেছে বিজেপি। এবার তাঁকে মন্ত্রী করা হতে পারে বলেও সূত্রের খবর। অসমে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সর্বানন্দ সোনোয়ালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েচে হেমন্ত বিশ্বশর্মাকে। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করে সর্বানন্দ সোনোয়ালকেও পুরষ্কৃত করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে রামবিলাশ পাসওয়ানের পুত্র চিরাগ পাসওয়ান বিহার বিধানসভা ভোটের আগে রীতিমত নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। আর বিদ্রোহের কারণে ভোট যুদ্ধে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল নীতিশকে। মুখ্যমন্ত্রী করা হলেও বিহার বিধানসভার মূল চালিকা শক্তি বর্তমানে বিজেপির হাতে।কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন চিরাগ পাসওয়ানও। অন্যদিকে বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমারকেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হতে পারে বলে গুঞ্জন। নাম উঠছে বাংলা মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা শান্তনু ঠাকুরের। বাংলায় বিধানসভা ভোটে তেমন সুবিধে করতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু তাও মোদী আর অমিত শাহের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে ঠাকুরবাড়ির শান্তনু ঠাকুরের। তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করে বার্তা দিতে পারে বিজেপি।
শ্রীনগরে আরও কড়া নিরাপত্তা, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিষিদ্ধ ড্রোনের উড়ান
তবে মন্ত্রীসভা সম্প্রসারণের এই গুঞ্জনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শীর্ষ মন্ত্রী ও বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডার বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পারফরম্যান্স আর ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনসহ ধর্মেন্দ্র প্রধান, প্রহ্লাদ যোশী, পীযূষ গোয়েল নরেন্দ্র সিং তোমেরর এই বৈঠকে যোগদানের কথা ছিল।
ইতালিতে ভারতীয় সেনার স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করবেন সেনা প্রধান নারাভানে, যাচ্ছেন ব্রিটেনেও
আগামী বছর পাঁচ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। তারপরের বছরও সাধারণ নির্বাচন। সবকিছু মাথায় রেখেই গুটি সাজাতে চাইছে বিজেপি। সেই কারণে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা দখলের প্রায় ২ বছর পরেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তবে নতুন মন্ত্রিসভায় নীতিশের দলের কোনও প্রতিনিধি থাকবে কিনা তা নিয়েও রাজধানীর রাজনীতিতে চলছে গুঞ্জন। স্মৃতি ইরানি, পীযূষ গোয়েলসহ অনেক মন্ত্রীর হাতেই একের বেশি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব রয়েছে। তাঁদের ওপর চাপ কমাতেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা হতে পারে বলেও সূত্রের খবর।