শনিবার কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল এ রাজ্য থেকেই। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী এ রাজ্য পা দেওয়ার আগের দিনই বিজ্ঞপ্তি জারি করে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যতই বিক্ষোভ হোক না কেন, তাঁরা যে পিছু হটবেন না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশজুড়ে নতুন আইন নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যেই নতুন আইন কার্যকর করা হল।
এমনিতেই প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফরের সময় নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। শুক্রবার নতুন আইন কার্যকর হয়ে যাওয়ার পর সেই সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেল।
আরও পড়ুন- মোদীর গুরুত্বপূর্ণ বাজেট বৈঠকে নেই অর্থমন্ত্রী সীতারমণ-ই, উঠছে হাজারো প্রশ্ন
আরও পড়ুন- এনআরসি বিরোধিতার মধ্যেই এক মঞ্চে মোদী- মমতা, হতে পারে বৈঠকও
বিরোধীদের প্রবল আপত্তিকে অগ্রাহ্য করেই গত ১১ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব আইন সংসদে পাশ হয়েছিল। এই আইন অনুযায়ী পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শরণার্থী হিসেবে যে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানরা এ দেশে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন অংশে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্য। এই আইনের বিরোধিতায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বিক্ষোভ শুরু করেন বিরোধীরাও। বিরোধীরা অভিযোগ তোলে, এই আইনে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যা দেশের সংবিধানের পরিপন্থী। তার পরেও আইন নিয়ে নিজেদের অবস্থানে অনড়ই ছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
আইনের পক্ষে পাল্টা কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি দাবি করেছে, নতুন এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। উল্টে নাগরিকত্ব দেবে। এ নিয়ে প্রচারও শুরু করেছে বিজেপি। এবার আইন কার্যকরও করে দেওয়া হলো। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল-এর মতো অনেক রাজ্যই অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই আইন কার্যকর করবে না।