ক্রমে এগিয়ে আসছে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায় ঘোষণার দিন। তার আগে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে রাজ্যে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হল। শুধঝু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, ভারতের সবকচটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকেই যে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তরপ্রদেশে, বিশেষ করে অযোধ্যায় নিরাপত্তা মোতায়েনের জন্য প্রায় ৪,০০০ আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যকে পাঠানো হল।
ইতিমধ্যেই রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত বিতর্কের এই মামলার শুনানি পর্ব শেষ হয়েছে। আগামী ১৭ নভেম্বর ভারতের বর্তমান প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ অবসর নেবেন। তিনিই এই মামলার সুনানিতে সাংবাধানিক বেঞ্চের নেতৃত্বে রয়েছেন। কাজেই তাঁর অবসরের আগেই এই মামলার রায় ঘোষিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই মামলার রায় বের হলে বিভিন্ন জায়গাতেই অশান্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আরএসএস-এর পক্ষ থেকে রায় ঘোষণার পর তাদের সদস্যদের শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই রকম পদক্ষেপ নিয়েছে মুসলিম সংগঠন জমিয়ত-উলেমা-এ হিন্দ'ও। 'মন কি বাত'-এর সর্বশেষ এপিসোডে ও পরে বিভিন্ন জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দেশবাসীকে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখার, দাঙ্গায় উস্কানি না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এতকিছুর পরও নিশ্চিন্ত থাকতে পারছে না সরকার পক্ষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে একটি সাধারণ উপদেষ্টা পাঠিয়ে সমস্ত সংবেদনশীল স্থানে পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় উত্তরপ্রদেশে ৪০ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী পাঠানো হয়েছে। একেক কোম্পানিতে প্রায় ১০০ জন করে কর্মী রয়েছেন। এই সমস্ত উদ্যোগ দেখে মনে করা হচ্ছে দুই-তিন দিনের মধ্যেই সম্ভবত দীর্ঘদিন ধরে চলা এই মামলার রায় বের হবে।