কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধনে যেতে ইচ্ছুক কংগ্রেস নেতা নভজোত সিং সিধু। কর্তারপুর করিডর উদ্বোধনে যেতে গেলে বিদেশ মন্ত্রকের অনুমতি প্রয়োজন। অনুমতি চেয়ে সিধু ইতিমধ্যে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের কাছে চিঠি লিখেছেন। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রক এখনও তাঁর আবেদনের কোনও উত্তর দেয়নি। এই প্রেক্ষিতে সুর চড়িয়েছেন সিধু। তিনি জানিয়েছেন, বিদেশ মন্ত্রক যদি শেষ পর্যন্ত তাঁর আবেদনে সাড়া না দেয়, তাহলে তিনি অনুমতি ছাড়ায় পাকিস্তানে কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধনে যাবেন।
দুদিন পরেই কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধন। সেখানে নভজোত সিং সিধু আগ্রহী। এই বিষয়ে তিনি বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি কর্তারপুর যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদনও করেন। কিন্তু জয়শঙ্কর নীরব অবস্থান বজায় রেখেছেন। বাধ্য হয়েই সিধু তাঁকে চিঠির উত্তর দেওয়ার জন্য আবেদনও করেন। কিন্তু তারপরেও জয়শঙ্কর কোনও উত্তর দেয় না। এরপরেই সিধু হুমকির সুরে কথা বলেন। বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'কর্তারপুর করিডর উদ্বোধন একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। এখানে অংশ নেওয়া আমার উচিত বলে মনে হয়েছে।' উদ্বোধনের যাওয়ার অনুমতি না দিলে একজন সাধারণ শিখ পুণ্যার্থী হিসেবেই সেখানে যাবো বলে হুমকি দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২৪ অক্টোবর ভারত পাকিস্তান কর্তারপুর করিডর চুক্তি স্বাক্ষরিত করে। পাকিস্তানের নারওয়াল জেলায় ভারত-পাক সীমান্তের কর্তারকপুর জিরো পয়েন্টে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই দরবার শরিফে শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ বছর অতিবাহিত করেছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী শিখ তীর্থযাত্রীরা সকালে এসে কর্তারপুরের দেরা বাবা নানকানা সাহিবের উদ্দেশে আসতে পারবেন। কিন্তু সকলকে সন্ধের সময় ফিরে যেতে হবে । পাকিস্তানের অভ্যন্তের চার কিলোমিটার যেতে শিখ তীর্থযাত্রীদের কোনও ভিসা লাগবে না।
জানা গিয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান প্রতিদিন পাঁচ হাজার তীর্থযাত্রীকে কর্তারপুরে প্রবেশ করতে দেবে। তবে এই তীর্থযাত্রার জন্য শিখদের মাথাপিছু ২০ মার্কিন ডলার দিতে হবে। ভারতীয় মূল্যে ১৪০০ টাকা দিতে হবে।