শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেশ সেন্টার থেকে সফল উৎক্ষেপণ চন্দ্রযান-৩এর। ভারতের চন্দ্র - অভিযান আজ আরও একবার নতুন মাত্রা পেল
শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেশ সেন্টার থেকে সফল উৎক্ষেপণ চন্দ্রযান-৩এর। ভারতের চন্দ্র - অভিযান আজ আরও একবার নতুন মাত্রা পেল। নির্ধারিত সময়ই স্বয়ংক্রিয় উৎক্ষেপণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কম্পিউটার কমান্ড গ্রহণ করেছে। চন্দ্রযান-৩ যাত্রা শুরু করার নির্ঘারিত সময় ছিল দুপুর ২টো ৩৫। এদিন শ্রীহরিকোটায় প্রচুর মানুষ ঐতিহাসের সাক্ষী থাকতে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। তিনি মুন- মিশনেরও প্রধান। LVM3 মহাকাশ যান নির্ঘারিত কক্ষপথে প্রবেশ করেছে।
এই অভিযানের সাফল্য কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের প্রতিটি মানুষই সাফল্য চাইছে। কারণ এই মিশন যগদি সফল হয় তাহলে ভারতের মহাকাশ গবেষণা অনেকটাই এগিয়ে যাবে। আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পরে ভারত হবে চতুর্থ দেশ যাদের মহাকাশ যান চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে। চন্দ্রযান -৩এর ল্যান্ডারের নাম বিক্রম আর রোভারের নাম প্রজ্ঞান। ৪০ দিন পরে আগামী ২৩ অগস্টের মধ্যে চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে চন্দ্রযান ৩।
চন্দ্রযান ৩ মিশনের কাউন্টডাউন শুরু -
জাতীয় মহাকাশ সংস্থা টুইট করে আগেই জানিয়েছিল মিশনটি সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য যা যা পরীক্ষার প্রয়োজন ছিল সব কিছুই করা হয়েছে। লঞ্চ ভেইকেল মার্ক ৩ থেকে উৎক্ষেপন করবে। এটি একখনও পর্যন্ত ভারতের সবথেকে বড় রকেট। ইসরোর মতে প্রোপেলন্টা মডিউল ল্যান্ডার ও রোভারকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চন্দ্র কক্ষপথে নিয়ে যাবে। এতে চাঁদের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর মেরু পরিমাম করার জন্য একটি স্পেকট্রো পোলারিমেট্রি পোলেডও যুক্ত করা হয়েছে। পৃথীবী থেকে প্রায় ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার দূরে নিয়ে যাওয়া যাবে চন্দ্রযান ৩কে।
২০১৯ সালেও ভারত চন্দ্রযান ২ পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেবার চন্দ্রযান ২ চাঁদের মাটি স্পর্শ করতে ব্যার্থ হয়। চাঁদে অবতরণের আগেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। অতীতের ভুলত্রুটি এবার শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করেছে ভারত। আগের অরবিটরটি এখনও চাঁদকে প্রদক্ষিণ করছে। তাই এবার ভারত কোনও অরবিটর পাঠাচ্ছে না। আগের বারের অরবিটরটির সাহায্য নেবে ল্যান্ডার আর রোভার।
বিস্তারিত আসছে…