Crime News: 'পাপ চাপা থাকে না!', জাল নোটের তদন্তে নেমে স্ত্রী হত্যার পর্দা ফাঁস করল পুলিশ

Published : Mar 06, 2023, 09:28 PM IST
crime

সংক্ষিপ্ত

জাল নোটের তদন্তে নেমে ছত্তিশগড়ের পুলিশের হাতে হলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। স্ত্রীকে খুন করে স্বামী দেহ টুকরো টুকরো করে রেখেদিয়েছিল জলের ট্যাঙ্কে। 

আবারও সামনে এল নৃশংস খুনের ঘটনা। এবার ঘটনাস্থল ছত্তিশগড়। জাল নোটের তদন্তে নেমে উদ্ধার হল মহিলার টুকরো টুকরো দেহ। বিলারপুরের ৩২ বছরের এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করে দেহের পাঁচটি টুকরো করে। তারপর একটি খালি জলের ট্যাঙ্কের মধ্যে লুকিয়ে রাখে বলে অভিযোগ। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছেন গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ট্যাঙ্ক থেকে দেহের টুকরোগুলি একে একে উদ্ধার করা হয়েছে।

সাক্রি থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি একটি বাড়ি ভাড়া করে সেখানে স্ত্রীকে নিয়ে থাকত। তবে পুলিশ জানতই না যে এই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। দুই মাস আগেই খুন হয়েছে মহিলা। বিলাসপুরের পুলিশ সুপার সন্তোষ সিং জানিয়েছেন, বিলাসপুর পুলিশের অ্যান্টি ক্রাইম ও সাইবার ইউনিটের একটি দল জাল নোট ছাপানোর খবর পেয়েছিল। গোপন খবরের ভিত্তিতে তল্লাশিতে গিয়েছিল। তখনই প্রকাশ্যে আসে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড।

পুলিশ জানিয়েছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি তার স্ত্রী ২৬ বছরের সতী সাহুকে গত ৬ জানুয়ারি শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপরই প্রমাণ লোপাটের জন্য স্ত্রীর দেহ কেটে পাঁচটি টুকরো করে জলের ট্যাঙ্কের মধ্যে রেখে দিয়েছিল। অভিযুক্তকে বাড়ির খুব কাছ থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু জাল নোট।

পুলিশ পরবর্তীকালে অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি রঙিন প্রিন্টার, ফোটোকপি, প্রচুর কাগজপত্র ও ৫০০ ও ২০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার করেছে। তল্লাশি অভিযানের সময়ই পুলিশ কর্মীরা দুর্গন্ধ পেয়েছিলেন। তারপরই তারা তল্লাশি শুরু করে। সেখানেই দেখতে পায় একটি দেহের টুকরোগুলি পড়ে রয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত জানিয়েছে, স্ত্রীর বিবাহবহিরর্ভূত সম্পর্ক ছিল। এই সন্দেহেই সে তার স্ত্রীকে খুন করেছিলে। তারপর একটি কাটার যন্ত্র দিয়ে দেহ পাঁচটি টুকরো করে। টুকরোগুলি জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু পোড়া গন্ধ বার হওয়ার কারণে তা থেকে বিরত থাকে। তারপর খালি জলের ট্যাঙ্কের মধ্যেই দেহের টুকরোগুলি রেখে দিয়েছিল।

স্থানীয় এক পুলিশ কর্মী জানিয়েছেন, অভিযুক্ত স্ত্রীর দেহগুলি পলিথিনের প্যাকেটে মুড়ে একটি টেপ দিয়ে ভাল করে তা আটকে দিয়েছিল। তারপর সেই অবস্থাতেই জলের ট্যাঙ্কে রেখে দেয়। অভিযুক্তের দুই সন্তান রয়েছে। তারা বর্তমানে রয়েছে ঠাকুমা ও দাদুর কাছে। হত্যা ও জাল নোটের কারবারের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও ছত্তিশগড় পুলিশ জানিয়েছে। দেহের টুকরোগুলি ফরেন্সিক ও ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে।

PREV
click me!

Recommended Stories

Indigo Flights: যাত্রীদের ৬১০ কোটি টাকা ফেরত দিল ইন্ডিগো! কড়া নজর রাখছে কেন্দ্র
জম্মু ও কাশ্মীরে বড় সাফল্য নিরাপত্তারক্ষীদের, ডোডা জেলায় সন্ধান অস্ত্রভাণ্ডারের