আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ গত ৩ মার্চ মুম্বই ও নাগপুরের ১৫টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। পঙ্কজ মেহাদিয়া, লোকেশ জৈন, কার্তিক জৈন নামে তিন ব্যক্তির বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালান হয়।
আবারও কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করল এনফোর্সমেন্টি ডিরেক্টরেট। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর মূল্যবান গয়না। ঘটনাস্থল মুম্বই ও নাগপুর। সূত্রের খবর মুম্বই ও নাগপুরের ১৫টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ইডি উদ্ধার করেছে ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা। সোনা ও হিরে যে গয়না উদ্ধার হয়েছে তার বাজারমূল্য ৫ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা।
সূত্রের খবর আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ গত ৩ মার্চ মুম্বই ও নাগপুরের ১৫টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। পঙ্কজ মেহাদিয়া, লোকেশ জৈন, কার্তিক জৈন নামে তিন ব্যক্তির বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালান হয়। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে তিন ব্যক্তি প্রধান অভিযুক্ত বলেও ইডি সূত্রের খবর। তিন জনের বাড়ি আর অফিস থেকে প্রচুর পরিমাণে নগদ উদ্ধার হয়েছে। গয়নার পাশাপাশি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও বাজেয়াপ্তা করা হয়েছে। সূত্রের খবর মূল্যবান ডিজিটাল ডিভাইসও উদ্ধার হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সীতাবুলদি থানায় দায়ের করা হয়েছিল। একটি এফআইআর-এর ভিত্তিতেই তল্লাশি চালান হয়। সূত্রের খবর আর্থিক তছরুপের কারণে বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। তারপরই তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডি।
সূত্রের খবর গোটা ঘটনা মূল চক্রী হল পঙ্কজ মেহদিয়া। সে বাকিদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি পঞ্জি স্কিম শুরু করেছিলে ২০০৪ সালে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত এটি চালান হয়। বিনিয়োগের ওপর টিডিএস কেটে নেওয়ার পরে ১২ শতাংশ মুনাফে দেওয়া হবে বলেও বিনিয়োগকারীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। একাছাড়াও ছিল একাধিক প্রতিশ্রুতি যা বিনিয়োগকারীদের রীতিমত প্রলুব্ধ করেছিল। কিন্তু আদতে অনেক বিনিয়োগকারী মূল টাকাই ফেরত পায়নি। তারাই অভিযোগ দায়ের করেছিল।
সংস্থাটি বলছে, ২০০৫ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পঞ্জি স্কিম চালায়। বিনিয়োগকারীদের মন জয় করার জন্য নিশ্চিত রিটার্ন দেওয়ার পতিশ্রুতি বিনিয়োগকারীদের টেনেছিল। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু কোনও টাকাই ফেরত দেয়নি। ইডি সূত্রের খবর টাকা ডাইভার্ট করার জন্য ও লেনদেনগুলিকে বৈধতা দেওয়ার দন্য ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টগুলিতে ১৫০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন প্রভাবিত হয়েছিল। সন্দেহ করা হয়েছে এই লেনদেনের বেশিরভাগটাই বৈধ নয়। অনেক বেআইনি কাজ হয়েছে বলেও মনে করছে ইডি।