ভুল খবর ছড়ানোর অভিযোগ
ভারতীয় আদালত তবল করল চিনা ধনকুবেরকে
আলিবাবা সংস্থানকেও সমন
প্রাক্তন কর্মী সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে
চিনা সংস্থা আলিবাবা ও তাঁর প্রধান চিনা বিলিয়নার জ্যাক মা-কে সমল পাঠান গুরুগ্রাম আদালত। প্রাক্তন এক কর্মীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই সময় পাঠান হয়েছে বলে আদালত সূত্রে খবর। আদালতের নথিপত্র থেকে জানান গেছে গুরুগ্রাম আদালতের সিভিল জজ সোনিয়া শিওকান্দ অলিবাবা জ্যাক মা ও তাঁর সংস্থার প্রায় ১২ জন ব্যক্তিতে নোটিশ পাঠিয়েছেন। আগামী ২৯ জুলাই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । অন্যথায় তাঁদের আইনজীবীকে আদালতে হাজির হতে হবে।
গত ২০ জুলাই আলিবাবার প্রাক্তন কর্মী পুষ্পেন্দ্র সিংহ পারমার এই মামলা দায়ের করেন। তিনি আলিবাবার ইউসি ওয়েবের প্রাক্তন কর্মচারী ছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল আলিবাবা কোম্পানির অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে সেন্সারশিল বা ভুল খবর ছড়িয়ে দেওয়া প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি। তাতে আপত্তিও জানিয়েছিলেন। তারপরই তাঁকে অন্যায়ভাবে ছেঁটে দেওয়া হয়েছে। ভারতে ইউসি ব্রাউজারসহ ৫৭ চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদালতের নোটিশ অনুযায়ী আগামী এক মাসের মধ্যে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আলিবাবা ও তাঁর কর্মীদের কাছ থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি চেয়েছে।
ইউসি ইন্ডিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, সমস্ত প্রতিশ্রুতি ও দেশীয় আইন মেনেই ভারতে সংস্থাটি ব্যবসা করছিল। পাশাপাশি কর্মীদের কল্যাণের বিষয়টির ওপরেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে জ্যাক মা সম্পর্কিত বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ সংস্থাটি।
অন্যদিকে অভিযোগকারী পারমার গুরুগ্রামের ইউসি ওয়েব অফিসে অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর হিসেবে ২০১৭ সালে অক্টোবর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন তিনি। তাঁকে ছাঁটাই করার পর ক্ষতিপুরণ হিসেবে ২ কোটি টাকাও চেয়েছেন তিনি। তবে তাঁর আইনজীবী বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
একটি সূত্র জানাচ্ছে ২০০ পাতার অভিযোগে সংস্থার প্রাক্তন কর্মী পারমার ইউসি নিউজ অ্যাপে প্রকাশিত বেশ কিছু পোস্টারের ক্লিপিং অন্তর্ভূক্ত ককরেছেন। যারমধ্যে একটি হল ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল একটি খবর যার শিরোনাম ছিল 'আজ মধ্যরাত থেকে ২০০০ টাকার নোট নিষিদ্ধ করা হবে'। ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়ান হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন সংস্থার প্রাক্তন কর্মী।
কার্গিল যুদ্ধের শহিদদের শ্রদ্ধা কেন্দ্রীয় দুই মন্ত্রীর, কী বললেন অমিত শাহ আর রাজনাথ সিং ...
চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার আগেই ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পরই ভারতের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।