মৈত্রীর বার্তা দিয়েও লাদাখ সীমান্তে ভারী হচ্ছে লাল ফৌজের বুটের আওয়াজ, ডেমচেকে চালু ৫জি নেটওয়ার্ক

  • প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা বরাবর ৫জি নেটওয়ার্ক চালু
  • ডেমচেক সীমান্তেও চালু করা হয়েছে ৫জি নেটওয়ার্ক
  • প্যাংগং-এ আবার বাড়ানো হয়েছে নির্মাণ কাজ 
  • গোয়েন্দা রিপোর্টের উদ্বেগ প্রকাশ 
     

Asianet News Bangla | Published : Aug 28, 2020 11:55 AM IST

সীমান্ত সম্পর্কের উন্নতির জন্য একের পর এক দাবি করে চলেছে চিন। কূটনৈতিক স্তরে রীতিমত বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছে। কিন্তু সীমান্তে সম্পূর্ণ অন্যছবি ধরা পড়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর এখনও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা বরাবর বেশ কয়েকটি এলাকায় অবস্থান করে রয়েছে চিনা সেনা। ইতিমধ্যেই ডেমচেকের কাছে স্থাপন করা হয়েছে ৫ জি নেটওয়ার্ক। আর প্যাংগং লেকে আরও বাড়ানো হচ্ছে নির্মাণ কাজ। 

গোয়েন্দাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা লোগোয়া এলাকায় ৫জি নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে চিন। অগাস্টের প্রথম সপ্তহ থেকেই ডেমচেক সংলগ্ন এলাকায় ৫জি নেটওয়ার্ক চালুও করা হয়েছে। 

সামরিক ও কূটনৈতিক কথাবার্তা চলাকালীন প্যাংগং লেক এলেকায় চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মি ঘাঁটি তৈরি করেছিল বলে অভিযোগ তুলেছিল ভারত। চিনা সেনা শিবিরের নির্মাণ কাজের ছবিও ধরা পড়েছিল উপগ্রহ চিত্রে। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে নির্মাণ কাজের পরিধি আরও বেড়েছ। চিন যখন ভারতের সঙ্গে সেনা সরানো নিয়ে আলোচনা করছে তখনও প্যাংগং-এর ফিঙ্গার ফাইভ এলাকায় তৈরি হচ্ছে শিবির। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে গোয়েন্দা রিপোর্টে। রিপোর্টে বলা হয়েছে শুধু ফিঙ্গার ফাইভ নয় ফিঙ্গার এইট পর্যন্ত এলাকায় লাল ফৌজ শক্তি বৃদ্ধি করেছে। একের পর এক অস্থায়ী শিবির তৈরি করেছে। বসানো হয়েছে সৌর প্যানেল আর রেডার। আনা হয়েছে বেশ কয়েকটি আধুনিক প্রযুক্তির নৌকা। যা প্রয়োজনে যুদ্ধের কাজে লাগতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে গোয়েন্দাদের প্রতিবেদনে। 

আগামী মাসেই দুই যুযুধান প্রতিবেশীর সঙ্গে সেনা মহড়ায় ভারত, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় দৃষ্টান্ত হবে রাশিয়.

ইজরায়েলি অ্যাওয়াকস হবে লাদাখ সীমান্তের ভারতীয় বাহিনীর চোখ, নজর রাখবে লাল ফৌজের গতিবিধির ওপর

অ্যান্টিবডি পরীক্ষা থেকে কি জানা যায় আপনি করোনা আক্রান্ত, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা ...


গত মে মাস থেকেই চিনার সেনার অনুপ্রবেশের কারণে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পূর্ব লাদাখ সীমান্তের বিস্তীর্ণ এলাকা। আর সেই থেকেই সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশই শক্তি বৃদ্ধ করতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে একের পর এক সামরিক  ও কূটনৈতিক বৈঠক হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। প্রথম দফার বৈঠকের পর গালওয়ান  উপত্যকা থেকে চিন সেনা সরালেও প্য়াংগংসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ঘাঁটি তৈরি করে বসেছে। পাল্টা ভারতেও শীতকালে সেনা মোতায়নের তোড়জোড় শুরু করেছে। 

 

Share this article
click me!