এবার পাকিস্তানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে একজনকে ভরতি করা হল হাসপাতালে। শনিবার সেখানকার স্বাস্থ্য় দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের পাঞ্চাব প্রদেশের মুলতানে ফেং ফে নামে বছর চল্লিশের এক শ্রমিককে হাসপাতালে ভরতি করে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। ফেং সম্প্রতি চিনের উহান শহর থেকে ফিরেছিলেন দিনদশেক আগে। পাকিস্তানে এসে তিনি ছিলেন মুলতানের কাছে চিনা শ্রমিকদের একটি শিবিরে।
পাকিস্তানের জাতীয় স্বাস্থ্য় প্রতিষ্ঠানের এক আধিকারিক জানান, শুক্রবার রাতে ফেং-কে ভরতি করা হয় নিশতার হাসপাতালে। তাঁর কথায়, করোনোভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে এই মুহূর্তে একজনকে ভরতি রয়েছে মুলতানে। তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। শরীর থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এই সপ্তাহের গোড়াতে, দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চিন ফেরত যাত্রীদের চিহ্নিত করার জন্য কাউন্টার তৈরি করেছিল পাকিস্তান। প্রসঙ্গত, কয়েকহাজার চিনা নাগরিক পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করেন। দু-দেশের মধ্য়ে সম্পর্কও খুব ভাল। এই বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্য়ে রয়েছে চিনা-পাকিস্তান করিডর। তাছাড়়া পাকিস্তানের অনেক পড়ুয়াও চিনে রয়েছে এই মূহূর্তে। ফরেন অফিসের মুখপাত্র আইশা ফারুকি বলেন,মোটামুটি ২৮হাজার পাকি পডু়য়া চিনে পড়াশোনা করছেন এখন। তাছাড়়াও ১৫০০ পাকিস্তানি ব্য়বসায়ী নিয়মিত চিনে যাতায়াত করেন।
শনিবার অবধি চিনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১-এ। এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্য়া ১২৮৭।
এদিকে চিনা ভাইরাসে আতঙ্কিত নয়াদিল্লিও। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন ৮০জনকে নজরবন্দি করা হয়েছে কেরলে। এদেশে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত সন্দেহে ১১জনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এই ১১ জনের মধ্য়ে জ্বর, সর্দিকাশি ও গলা ব্য়থার মতো নানা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ১২ হাজারেরও বেশি চিন ফেরত যাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য় পাঠানো হয়েছে বলে খবর।