বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হনুমান বলেছিলেন চিরাগ পাসওয়ান। তারপর কেটেগেছে দীর্ঘ দিন। বুধবার নরেন্দ্র মোদী তাঁর মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করেছেন। সেখানে স্থান পেয়েছেন চিরাগ পাসওয়ানের কাক পশুপতি পারস। কিন্তু তাঁর মন্ত্রিত্ব প্রবল আপত্তি রয়েছে চিরাগ পাসওয়ানের। আগে তিনি জানিয়েছিলেন পশুপতি তাঁর দল লোকজনশক্তি পার্টির ( LJP) সদস্যই নন। এবার তিনি সরাসরি নিশানা করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে। চিরাগের অভিযোগ তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে দূরে রাখতে পশুপতিকে মন্ত্রী কারর জন্য চাপ দিয়েছিলেন নীতিশ। আর নীতিশের এই পদক্ষেপ যে কোনও মুহূর্তেই ভেঙে দিতে পারে তাঁর যেতে পারে তাঁর জনতাদল ইউনাইটেড (JD U)।
১৭ বছর আগে পোঁতা হয়েছিল মহামারির বীজ, কোভিড সংক্রমণ নিয়ে দাবি বিজ্ঞানীদের
সমস্তিপুরের একটি জনসভায় নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন চিরাগ পাশওয়ান। তিনি বলেছেন, বর্তমানে দলীয় সংগঠনের কাজে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন। জনসংযোগ বাড়াতে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। সেই কারণে এই মুহূর্তে তিনি মন্ত্রী হতে ইচ্ছুক নন। কিন্তু পশুপতি পারসকে মন্ত্রী করা হোক- তাও চাইছেন না তিনি। তাঁর কথায় তাঁর কাকার বিষয়টি বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের বিচারাধীন রয়েছে। কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন তিনি। কিন্তু চিরাগের কথায় পশুপতিকে মন্ত্রী করতে নীতিশ কুমার নিজের দলের সাংসদ রাজীব রঞ্জন ওরফে লালন সিংএক থেকে মন্ত্রিত্ব ছিনিয়ে নিয়েছেন। আর সেটাই জেডিইউর মধ্যে অশান্তি তৈরি করেছে।
রবিশঙ্কর প্রসাদ, হর্ষ বর্ধন, প্রকাশ জাভড়েকর, কী কারণে ৩ হাইপ্রোফাইল মন্ত্রীর পদত্যাগ
চিরাগের কথায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। জানিয়েছেন তাঁর কাকা পশুপতির বিষয়টি এখনও বিচারাধীন রয়েছে। এলজেপির সঙ্গে পশুপতির কোনও সম্পর্ক নেই সে কথাও জানান হয়েছে। তারপরেও তাঁকে মন্ত্রী করার কিছুটা হলেও উষ্মা রয়েছে চিরাগের মনে। রামবিলাশ পাসওয়ান ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর মৃত্যুর পর চিরাগ পাসওয়ানের মন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিহারের জটিল রাজনীতি তাঁর মন্ত্রিত্বের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
প্রয়াত হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, দুবার আক্রান্ত হয়েছিলেন কোভিডে
রামবিলাশ পাসওয়ান নীতিশ কুমারের হাত ধরলেও চিরাগ পাসওয়ান তাঁর মৃত্যুর পর সম্পূর্ণ অন্য পথেই হাঁটেন। তিনি বিজেপির পক্ষে থাকলেও বিধানসভা নির্বাচনে নীতিশের তীব্র বিরোধিতা করে জেডিইউএর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিলেন। ভোট কাটাকাটির ফলে জেডিইউর আসন সংখ্যাও কমেছিল।