২০ বছরের আইনি বিবাদ একলহমায় শেষ, মুখ্যভূমিকায় দেশের প্রধানবিচাপতি

দীর্ঘ ২০ বছর ধরে স্বামী স্ত্রী আইন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। স্বামীর কারাবাসের মেয়াদ বাড়ন ছিল স্ত্রীর আর্জি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতি মামলা শুনলেন।

এক বা দু-বছর, গত ২০ বছর ধরে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দম্পতির সেই লড়াই থামিয়ে তাঁদের একত্রিত করতে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। অন্ধ্রপ্রদেশের তামিল দম্পতির কথা মন দিয়ে শুনেই তিনি তাঁদের এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা বিবাদ মিমাংসা করার পরামর্শ দিয়েছেন। আর দম্পতিও তাতে রাজি হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে। 

Latest Videos

পণ আদায়ের জন্য স্বামী অত্যাচার করত। এই ছিল অন্ধ্রপ্রদেশের মহিলার অভিযোগ। আর সেই কারণেই স্বামীর হাজতবাসের মেয়াদ বাড়াতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহিলা। প্রধানবিচারপতি রামানা আর বিচারপতি সূর্যকান্তর বেঞ্চে মামালা ওঠে। করোনা-কালে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমেই শুনানি হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় মহিলার ভাষা নিয়ে। 

জো বাইডেনের উদ্যোগকে স্বাগত, মার্কিন বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

কিন্তু প্রধানবিচারপতি অখ্যাত তামিল মহিলার কথা মন দিয়ে শুনেছিলেন বলও জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা। আদালতের সরকারি ভাষা ইংরাজি হলেও মহিলা তাতে স্বাচ্ছন্দ্য ছিলেন না। মহিলা তাঁর নিজের কথা তেলেগুতেই বলতে চেয়েছেলিন। তাতে আপত্তি করেননি প্রধানবিচারপতি। তিনি তাঁর সহকর্মী বিচারকের কাছ থেকে মহিলা যা যা বলেছিলেন তার ব্যাখ্যাও শুনেছিলেন। সমস্ত কথা মন দিয়ে শুনে তারপরই সিদ্ধান্ত নেন দুই বিচারপতি। 

মোদীর বিরুদ্ধে শুধু রাজনৈতিক গুটি সাজাচ্ছেন এমন নয়, দিল্লিতে মমতা কথা বলবেন সাবানা আজমিদের সঙ্গে

প্রধানবিচারপতি এনভি রামানা মহিলাকে বলেন, তাঁর স্বামীর হাজতবাসের মেয়াদ যদি বাড়়ান হয় তাহলে তিনি ক্ষতিপুরণ দিতে অসামর্থ্য হবেন। কারণ নির্দিষ্টি সময়ের পর স্বামী জেলে থাকলে তাঁর সরকারি চাকরি থাকবে না। স্বামী গুন্টুর জেলার রাজ্য সরকারের কর্মী। তখন মহিলা আরও বিপদে পড়বেন। প্রধানবিচারপতির এই কথা মন দিয়ে শুনেছেন মহিলা। অন্যদিকে স্বামীকেও বিবাদ মিটিয়ে নিতে পরামর্শ দেন তিনি। পিটিআই সূত্রের খবর স্বামীও তাতে রাজি হয়েছে। একই সঙ্গে স্ত্রী ও পুত্রের ভরনপোষণের ভার নিতেও রাজি হয়েছেন তিনি। স্বামী-স্ত্রী উভয়ই একে অপরের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ তুলে নিতে সম্মত হয়েছেন। 

UNESCO-র তকমা পেল 'ধ্বংসস্তূপ'ধোলাবিরা, ছবিতে দেখুন কেমন ছিল এই হরপ্পা সভ্যতার এই শরহটি

১৯৯৯ সালে দম্পতির বিয়েছিল। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি সম্পর্কের অবনতি হয়। পণের দাবিতে মহিলার ওপর অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। শাশুড়ি ও পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়।  মহিলা এক পুত্র সন্তান নিয়ে সুবিচারের আশায়  আদালতের দ্বারস্থ হয়। ২০০১ সালে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। বিভিন্ন আদালত দম্পতির মধ্যে মধ্যস্থতা করতে ব্যর্থ হয়। স্বামীর এক বছরে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাতে সন্তুষ্ট ছিলেন না স্ত্রী। কারাদণ্ডের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।  সেশন কোর্ট, হাইকোর্ট হয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সেখানেই প্রধানবিচারপতির উদ্যোগেই ২০ বছরের আইনি লড়াইয়ে খান্ত দেন দম্পতি। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'একত্রিত হতে হবেই, ওরা ৫০ পেরলেই শরিয়া আইন চালু করবে' গর্জে উঠলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | News
'Mamata Banerjee-র জন্যই অভয়ার এই অবস্থা' বলতে গিয়ে এ কী বললেন Suvendu Adhikari, দেখুন
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
'সনাতনী সম্মেলন'-এ Suvendu Adhikari-র বিশেষ বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury