অসম-মিজোরামে মোতায়েন করা হল আধাসেনা, দুই রাজ্যের সীমান্ত সমস্যার সমাধানে বিরাট সিদ্ধান্ত

সীমান্ত দ্বন্দ্বে সোমবার আগুন জ্বলেছিল অসম-মিজোরাম সীমান্তে। এবার এই সমস্যার সমাধানে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। 
 

Asianet News Bangla | Published : Jul 28, 2021 4:34 PM IST / Updated: Jul 28 2021, 10:19 PM IST

অসম-মিজোরাম সীমান্ত দ্বন্দ্বের সমাধানে আর দুই রাজ্য প্রশাসনের উপর ভরসা রাখল না কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে হিংসা-ধ্বস্ত সীমান্ত অঞ্চলে আধাসেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। দুই রাজ্যপ্রশাসনই ওই এলাকাগুলি থেকে নিজ নিজ পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে নেবে। 

এদিন, এই বিষয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ​​ভাল্লার সভাপতিত্বে একটি বৈঠকে অংশ নেন অসমের মুখ্য সচিব জিষ্ণু বড়ুয়া এবং অসম পুলিশের ডিজি ভাস্করজ্যোতি মোহান্ত এবং মুখ্য সচিব এবং পুলিশের ডিজি - লালনুনমাভিয়া চুয়াংগো এবং এসবিকে সিং। 

সেই বৈঠকে উভয় রাজ্য সরকারই জাতীয় মহাসড়ক ৩০ বরাবর বিস্তৃত অশান্ত অসম-মিজোরাম সীমান্তে নিরপেক্ষ সিএপিএফ বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে একমত হয়েছে। একজন পদস্থ সিএপিএফ কর্মকর্তা সেই বাহিনীর তত্ত্বাবধান করবেন। তারমধ্যে দুই রাজ্যের সরকার আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করবে বলে সম্মত হয়েছে। বৈঠকের পর এমনটাই জানিয়েছেন, অসমের মুখ্য সচিব জিষ্ণু বড়ুয়া। 

অন্যদিকে, মিজোরামের মুখ্য সচিব জানিয়েছেন, সীমান্তের পরিস্থিতি বর্তমানে শান্তিপূর্ণই আছে। তিনি আরও জানিয়েছেন এই শান্তি বজায় রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। 

সীমান্ত নিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের দুই রাজ্য, অসম এবং মিজোরাম দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। অসম ও মিজোরামের আন্তঃরাজ্য সীমান্তে এই দ্বন্দ্বের জেরে সাত জন নিহত এবং একজন এসপি সহ ৫০ জন আহত হয়েছেন। বিতর্কিত ১৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমানার একপাড়ে রয়েছে অসমের বরাক উপত্যকা জেলা কাছার, করিমগঞ্জ ও হিলাকান্দি এবং অন্যপাড়ে মিজোরামের তিন জেলা - আইজল, কোলাসিব ও মমিত।

আরও পড়ুন - নিহত ৬ পুলিশ, দ্বন্দ্বে জড়ালেন দুই বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী - ফুটছে অসম-মিজোরাম

আরও পড়ুন - অসম সীমান্তে ৩৬ বছর আগে একই এলাকায় খুন করা হয় ২৮ পুলিশকর্মীকে, বেরল রহস্যজনক তথ্য

আরও পড়ুন -এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না, মিজোরামকে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুমকি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই অঞ্চলে দু'পক্ষ থেকেই এলাকা দখল ও  হিংসার অভিযোগ আসছিল। গত সোমবার আন্তঃরাজ্য সীমান্তে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চরমে উঠেছিল। এঐমনকী, এই বিষয় নিয়ে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও কথার লড়াইয়ে জড়িয়েছিলেন। 

Share this article
click me!