ছাত্র সংঘর্ষের জেরে এখনও উত্তপ্ত জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়। হিংসা বন্ধ করলে বিজ্ঞপ্তি জারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। আহত হয়েছে ১৬ জন।
রবিবার রাতে ফের ছাত্র সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সঙ্গে বিরোধী ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় ১৬ জন আহত হয়েছে। এই ঘটনার পরই জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনও রকম হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। হিংসার সঙ্গে যদি কোনও শিক্ষার্থীর সম্পর্ক থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ঘটনার সূত্রবার রবিবার রামনবমীর দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে আমিষ খাবার দেওয়াকে কেন্দ্র করে। ছাত্র সংগঠন জেএনইউএসইউ-র অভিযোগ, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ ক্যাম্পাসের মেসে পড়ুয়াদের আমিষ খাবার খেতে বাধা দিয়েছিল। তারা ক্যাম্পাসের মধ্যে ভয়ঙ্কর হিংসাত্মক পরিবেশ তৈরি করেছিল। যদিও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাদের রামনবমীর অনুষ্ঠান করতে দেয়নি বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। তারা লাঠি নিয়ে হামলা চালিয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এজাতীয় ছাত্র সংঘর্ষের তীব্র নিন্দা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গোটা ঘটনায় তাঁরা শিক্ষকের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে। জেএনইউএসইউ, এসএফআই, ডিএসএফ, এআইএসএ- এই তিনটি ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। তারপরই পুলিশ জেএনইউতে ছাত্র সংঘর্যের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করে। অন্যদিকে পাল্টা এবিভিপিও বামপন্থী ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
এবিভিপির সভাপতি রোহিত কুমার সোমবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, আমিষ খাবার পরিবেশন নিয়ে তাদের কোনও আপত্তি নেই। যে যার ইচ্ছে মত খাবার খেতেই পারে। তিনি আরও বলেন তাঁরা একই সময় হোস্টেলে ইফতার ও পুজো করতেন। কিন্তু রবিবার ইচ্ছেকৃতভাবে রামনবমীর পুজোতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। বামপন্থী ছাত্ররাই এই ঘটনার জন্য দায়ি। ছাত্রদের মধ্যে বিদ্বেষ তৈরি করা বামপন্থী ছাত্রদের নতুন এজেন্ডা বলেও দাবি করেছেন তিনি। রামনবমীর পুজো ভেস্তে দেওয়াই বামপন্থীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি। অন্যদিকে পুরো দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ এবিভিপি ইচ্ছেকৃতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শান্তি ভঙ্গ করেছে।
মহাকাশে মেঘের দেশে খালি পায়ে হাঁটা, বিশ্ব রেকর্ড করার ভয়ঙ্কর ভিডিওটি দেখুন