রোপওয়েতে দুর্ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়াল রোপওয়েতে। যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে তা ভারতের সর্বোচ্চ রোপওয়ে রুট। কী কারণে এই ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্চে। উদ্ধারকাজে নেমেছে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার।
রোপওয়েতে দুর্ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়াল দেওঘরে। যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে তা ভারতের সর্বোচ্চ রোপওয়ে রুট। কী কারণে এই ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উদ্ধারকাজে নেমেছে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার।
ঝাড়খণ্ডের দেওঘর জেলায় মোহনপুরের ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়ে দুর্ঘটনায় আটকে পড়া ৪৮ জনকে ট্রলি থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ দুর্ঘটনায় ট্রলিতে আটকে পড়ে ৪৮ জন। সারারাত তারা রোপওয়েতে ঝুলে ছিলেন। সকালে ভারতীয় বায়ুসেনা সহায়তায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার শুরু হয়। তবে তারের কারণে উদ্ধারে সমস্যা তৈরি হয়। এই দুর্ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
দেওঘরের জেলা প্রশাসক মঞ্জুনাথ ভজন জানান যে ১১জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতীয় বায়ু সেনা, ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ এবং ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। শেষ পাওয়া খবরে, IAF এই অভিযানে দুটি Mi-17 হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে। এই উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর দুর্ঘটনার পর এক দম্পতি কেবল কার থেকে লাফ দিয়েছিলেন এবং তারা গুরুতর আহত হয়েছেন। দুজনকেই দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গেছে যে রবিবার এই দুর্ঘটনার পরে, রোপওয়ে ম্যানেজার এবং অন্যান্য কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। গোড্ডার সাংসদ নিশিকান্ত দুবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ঝাড়খণ্ডের মুখ্য সচিব সুখদেও সিংকে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
ঝাড়খণ্ড পর্যটন দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ত্রিকুট রোপওয়ে দেশের সর্বোচ্চ রোপওয়ে এবং সর্বোচ্চ লেন্স কোণ ৪৪ ডিগ্রি। রোপওয়েটি বাবা বৈদ্যনাথ মন্দির থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে তৈরি করা হয়েছে এবং প্রায় ৭৬৬ মিটার দীর্ঘ। ত্রিকূট পাহাড় ৩৯২ মিটার উঁচু। রোপওয়েতে ২৫টি কেবিন রয়েছে এবং প্রতিটিতে চারজন লোক বসতে পারে।