টাকার জন্য সাত বছরের এক বালককে অপহরণ করল দশম শ্রেণির ছাত্র। এমন ঘটনাই ঘটল হায়দরাবাদের মীরপেটে। অপহৃত বালকের বাবা-মার কাছে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অভিযুক্ত ১৭ বছরের কিশোর। না দিলে প্রাণ নাশের হুমকিও দেওয়া হয়। যদিও শেষপর্যন্ত টাকা না দিয়েই ছেলেকে ফিরে পান নাবালকের পরিজনরা।
পুলিশ সূত্রে জানান হয়েছে, রবিবার বিকেলে পিএসআর কলোনির বাসিন্দা ৭ বছরের অর্জুন বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে যায়। সেই সময়ই বাড়ি ফিরছিল ওই দশম শ্রেণির ছাত্রটি। অর্জুনকে দেখেই অপরহরণের ছক কষে ফেলে সে। ছোট অর্জুনের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। এরপর আলমাসগুদায় নিজের বাড়ির কাছে একটি মন্দিরে অর্জুনকে নিয়ে যায় ও তার বাবার নম্বরে ফোন করে মুক্তিপণ চায়।
কন্ঠস্বর বদল করেই অর্জুনের বাবা রাজুকে ফোন করেছিল ওই কিশোর। ফোনে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পুলিশে যাতে রাজু খবর না দেয় সেই হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। মুক্তিপণ না পেলে ছেলেক খুনের ভয়ও দেখান হয়। ছেলেকে বাঁচাতে ১.৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে রাজিও হয় রাজু, কিন্তু সেই টাকা নিতে অস্বীকার করে নাবালক অপরাধী। এরপর রাজু প্রস্তাব দেয়, ২৫ লক্ষ টাকা নগদে দেওয়ার ও বাকি টাকা চেক মারফত দেওয়ার, এতে রাজি হয়ে যায় অপরাধী। এমনটাই দাবি করছে রচকোন্ডা থানার পুলিশ।
মিডিয়ায় সামনে কথা বলতে গিয়ে রাজু জানান, বিকেলে আমাদের কাছে ফোন আসে, বলা হয় টাকা নি দেল ছেলেকে ফিরে পাওয়া যাবে না। ভয় পেয়ে গিয়ে আমরা মীরপেট থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
অভিযোগ দায়েরের এক ঘণ্টার মধ্যেই অর্জুনকে খুঁজে বার করে পুলিশ। নাবালক অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। নিজের অপরাধের কথা স্বীকারও করেছে দশম শ্রেণির ওই ছাত্র।
রাজুর থেকে টাকা নেওয়ার সময় অভিযুক্তকে হাতে নাতে ধরে ফেলে পুলিশ। ওই নাবালক ছাত্রের আগেও অপরাধের রেকর্ড রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরআগে প্রতিবেশীর থেকে এক লক্ষ টাকা চুরি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যদিও এই বিষয়ে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। দুই পক্ষই নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিয়েছিল।