কোয়েম্বাটোর গাড়ি বিস্ফোরণে জঙ্গি যোগ, ধৃত ৫ জনই ছিল এনআইএ-র ব়্যাডারে

কোয়েম্বাটোর গাড়ি বিস্ফোরণে জঙ্গি যোগ ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের সঙ্গে একটা সময় আইসিস জঙ্গিদের যোগ ছিল বলে অনুমান করছে তদন্তকারীরা। 
 

Web Desk - ANB | Published : Oct 25, 2022 6:14 PM IST

কোয়েম্বাটোরে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় ইউএপিএ-র অধীনে এখনও  পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  ধৃতরা প্রত্যেকেই ২০১৯ সাল থেকে এনআইএ-র ব়্যাডারের অধীনে ছিল। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছেন অক্ষয় নাথ, প্রমোদ মাধব দ্বারা - এদের কোয়েম্বাটোরে গাড়ি বিস্ফোরণ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ২০১৯ সালেও একাধিকবার এদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। 


মোহাম্মদ দলকা, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, মোহাম্মদ রিয়াজ, ফিরোজ ইসমাইল এবং মুহাম্মদ নওয়াজ ইসমাইল- এই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার একটি এলপিজি সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে গাড়ির মধ্যে থাকা এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তিও এনআইএ-র ব়্যাডারের অধীনে ছিল। তবে তার বিরুদ্ধে তেমন কোনও প্রমাণ না পওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। 


কোয়েম্বাটোর গাড়ি বিস্ফোরণ মামলায় মৃতের নাম জামেজা মুবিন। তিনি উক্কাদামের বাসিন্দা। দীর্ঘ দিন ধরেই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এইআইএ -র ব়্যাডারের তলায় ছিলেন। অনুমান করা হয়েছিল তিনি জঙ্গি সংগঠন আইসিস-এর সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু ২০১৯ সাল পর্যন্ত তথ্যতল্লাশি চালিয়েও কোনও প্রামাণ পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। কিন্তু তারপর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এদিন বিস্ফোরণে যেভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে নতুন সন্দেহ দানা বাঁধছে। 

রবিবার ভোরে কোয়েম্বাটোর শহরে একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। গাড়িতে লাগান একটি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ। গাড়ির মধ্যে থাকা ব্যক্তি কার্যত অগ্লিগদ্ধ হয়ে মারা যায়। উক্কাদাম এলাকায় এই বিস্ফোরণের ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়। প্রথম দিকে নিহতের কোনও পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। পরে সবতথ্য হাতে পেয়েছিল পুলিশ। 

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত নেমে পুলিশের হাতে যে তথ্য এসেছে তা থেকে স্পষ্ট, এই ঘটনায় যাদের নাম জড়িয়েছে তাদের কয়েকজন কেরলে গিয়েছিল। ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রত্যেককেই সন্দেহ করত এনএআই। পুলিশ আরও জানিয়েছে, এলাকারা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদে মধ্যে তিন জনকেই এলাকায় দেখা গেছে। পুলিশ সূত্রের খবর রিয়াজ, নওয়াজ এবং ফিরোজ মুবিনকে বিস্ফোরক বহনে সহায়তা করেছে এবং গাড়িতে সহায়তা করেছে।অভিযুক্তরা দুটি সিলিন্ডার এবং তিনটি ড্রাম ব্যবহার করেছিল এবং ফরেনসিক দলগুলি বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখছিল। “পটাসিয়াম নাইট্রেট, চারকোল, অ্যালুমিনিয়াম পাউডার এবং সালফার উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৭৫ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। 

বদলে যাচ্ছে রাজ্য-রাজভবন সমীকরণ? রাজ্যপালের আমন্ত্রণে চেন্নাই যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে চার্জশিট CBI-র, শান্তিপ্রসাদ-সহ ১২ জনের নাম

কালো চশমা পরে মমতার বাড়ির কালীপুজোয় হাজির অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, আর্শীবাদ নিলেন মুখ্যমন্ত্রীর


প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী পুলিশের অনুমান, গাড়িটি দ্রুত গতিতে যাচ্ছে। একটি স্পিডব্রেকার অতিক্রম করার পরেই দুর্ঘটনা ঘটে। সেই সময়ই গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ হয়। পুলিশ জানিয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। গাড়িটি গ্যাসে চালান হচ্ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে গ্যাস সিলিন্ডার ছাড়া আর অন্য কোনও বস্তু গাড়ি থেকে পাওয়া যায়নি। দাহ্যবস্তুই তেমন ছিল না বলে পুলিশ সূত্রের খবর।  

Share this article
click me!