সংক্ষিপ্ত
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে চার্জশিট পেশ আদালতে। নাম রয়েছে ১২ জনের। তার মধ্যে ৬ জনই বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদাসতে চার্জশিট পেশ করল সেন্ট্রান ইনভেস্টটিগেশন ব্যুরো বা সিবিআই। চার্জশিটে এখনও পর্যন্ত ১২ জনের নাম রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। চার্জশিটে নাম রয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা,প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্যদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম প্রথম সারির কর্তাব্যক্তিদের। যদিও চার্জশিটে থাকা ১২ জনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৬ জনই স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বর্তমানে জেলে রয়েছেন।
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। সিবিআই-এর জমা দেওয়া চার্জশিটে শান্তিপ্রসাদ, সুবীরেশ কল্যাণময় ছাডডাও নাম রয়েছে, এসএসসির সরকারী সচিব অশোক কুমার সাহা, প্রাক্তান প্রোগ্রাম অফিসার পর্ণা বসু, সমরজিৎ আচার্যের। অশোককুমার রয়েছেন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে। এছাড়াও শান্তিপ্রসাদ ও কল্যাণময়দের ঘনিষ্টদের নামও ছিল তালিকায়।
আগেই আদালতে শুনানির সিবিআই দাবি করেছিলেন স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি পুরোপুরি পরিকল্পনা মাফিক করা হয়েছিল। ধরা পড়লে নিজেদের বাঁচানোর রাস্তাও তৈরি করেছিল আধিকারিকরা। পুরো ব্যাপারটাই পরিকল্পনা মাফিক ছিল।
অন্যদিকে স্কুল শিক্ষক দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সপার্থ চট্টোপাধ্যায়কেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। এই কাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত করেই তাঁরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়েকে চিহ্নিত করেছেন বলে দাবি। পার্থর বান্ধবী হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি যেতে যে রাশি রাশি টাকা উদ্ধার হয়েছে তা স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের বলেও দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁদের দাবি টাকার বিনিময় চাকরি দেওয়া হয়েছিল। আর সেই টাকাই রাখা হয়েছিল অর্পিতার বাড়িতে। কিন্তু কি ভাবে এই টাকা তোলা হত তারও শিকড়ে যেতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সেই কারণে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করেছে একাধিকবার। তদন্ত সংস্থাগুলির দাবি প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা জামিন পেয়ে বাইরে বার হলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। অন্যদিকে আদালতও এই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট স্পর্শকাতর।
সিতরাং-এ বিপর্যস্ত বাংলাদেশে আরও একটা ঝড় ডিসেম্বরে, আগাম পূর্বাভাস নিয়ে রীতিমত চাঞ্চল্য
ঋষি সুনক কি এবার ভারকে ফিরিয়ে দেবেন কোহিনূর হীরা? জল্পনায় শুরু নেটনাগরিকদের মধ্যে
অশোক ভট্টাচার্য-রাজু বিস্ত 'সৌজন্য' সাক্ষাৎকারে অশনী সংকত দেখছে তৃণমূল, গৌতম বললেন 'গেমপ্ল্যান'
স্কুল শিক্ষক দুর্নীতির তদন্তে নেমে প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রথমে ইডি হেফাজতে নেয়। তারপর তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠান হয়। তারপর তদন্তের স্বার্থে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে নেয় সিআইডি। তারপর ফের জেল হেফাজতে পাঠান হয়। প্রত্যেকবারই প্রভাবশালী এই তত্ত্বে পার্থর জামিনের আবেনদন খারিজ হয়ে যায়।
দশমীর দিন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে বাকি অভিযুক্তদের সঙ্গে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি এইদিন জামিনের জন্য কোনও আবেদনই জানাননি। তবে বাকিরা জামিনের আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু তাদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় । এদিন উত্তরবঙ্গ বিশ্বাবিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশকে ডিভিশন ওয়ান বন্দি হিসেবে দেখার আর্জি জানান হলেও তা খারিজ হয়ে যায়। এদিন শুনানি হয় ভার্চুয়াল মাধ্যমে।