জয় কিষাণ আন্দোলন নিজেদের বিবৃতিতে জানিয়েছে গুরু নানক দেব জি বলেছিলেন "কিরাত করো” সৎ পথে মেহনতের রোজগারে জীবন যাপন করো। শুক্রবার গুরু নানকের জন্মদিনে খেটে খাওয়া কৃষকের জয় হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) ঘোষণায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে(Democratic Movement) চলা আন্দোলনের জয় হয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন বাতিলের (Farmer Law Repealed) ঘোষণার প্রেক্ষিতে এমনই বিবৃতি জয় কিষাণ আন্দোলনের। নিজেদের বিবৃতিতে তাদের প্রতিক্রিয়া গুরু নানক দেব জি বলেছিলেন "কিরাত করো” সৎ পথে মেহনতের রোজগারে জীবন যাপন করো। শুক্রবার গুরু নানকের জন্মদিনে খেটে খাওয়া কৃষকের জয় হয়েছে। ভারতের সব কৃষককে অভিনন্দন।
তারা জানিয়েছে এই জয় কোন নেতা বা মোর্চার থেকেও বেশি সেই লক্ষ লক্ষ কৃষকদের যারা গত এক বছর দুঃখ কষ্ট ভুলে হাড় কাঁপানো শীতে, জলে ভাসানো বর্ষায় আর মাথা ফাটা গরমে দৃঢ় সংকল্পের সাথে আন্দোলন চালিয়ে গেছে। এই জয় সেই ৭০০ শহিদ কৃষকদের যারা প্রাণ দিয়ে এই আন্দোলনকে সফল করেছে।
এই বিজয় ঐতিহাসিক কারণ কৃষক বুঝিয়ে দিয়েছে যে তাকে ইতিহাসের আবর্জনায় স্তূপে তাকে ফেলে দেওয়া যাবে না - কৃষক কেবল এই দেশের ইতিহাস ও অতীতের অংশ নয় - সে এই দেশের ভবিষ্যতের অংশীদার ও বটে। আজ অহংকারের মাথা নত হয়েছে।
জয় কিষাণ আন্দোলনের দাবি যে সরকার সংবিধান মানে না, আইন মানে না, মনুষ্যত্ববোধ মানেনা, কৃষকের সুখ দুঃখ নিয়ে যে ভাবে না - শেষ অবধি সেই সরকারকেই কৃষকের সামনে মাথা নত করতে হয়েছে। হয়ত ভোটের জন্যই মাথা নত করেছে কিন্তু তা হলেও সেটা গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
কিন্তু এই জয় এখনো সম্পূর্ণ নয়। কৃষকদের দুটি প্রধান দাবি ছিল। একটা ছিল ৩টি কৃষি আইন বাতিল করার। দ্বিতীয়টিতে কৃষক বলেছিল যে তার মেহনতের পুরো দাম অর্থাৎ ন্যূনতম সমর্থন মূল্য।
Narendra Modi-ব্যাঙ্কিং সেক্টরকে নয়া দিশা দেখিয়েছে কেন্দ্র, দাবি মোদীর
Climate Summit-জলবায়ু চুক্তির বিরোধিতায় ২১টি দেশ, কোন প্রশ্নে এককাট্টা ভারত-চিন
উল্লেখ্য, কৃষকদের দ্বিতীয় দাবির আইনি অধিকারের কথা প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজে ২০১১ সালে বলেছিলেন। সেইসময় তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেটা আইনি গ্যারান্টি মারফত কৃষককে দিতে হবে। শুক্রবার আংশিক ভাবে মাথার উপর থেকে এই ৩ কালো আইনের বোঝা নেমে গেল ঠিকই কিন্তু কৃষক প্রশ্ন করছে: আমরা পেলাম কি? তাই এই আন্দোলন চলতে থাকবে বলে দাবি করেছে জয় কিষাণ আন্দোলন।
আন্দোলন কিভাবে করা হবে তা সংযুক্ত কৃষক মোর্চার সব শরিক দল মিলে ঠিক করবে এবং তা সকলে মেনে নিয়ে চলবে বলে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন অহংকার কিন্তু এখনো চলে যায়নি-চালাকি এবং প্যাঁচের খেলা চলছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানাতেই দেশজুড়ে অভিনন্দনের বান ডাকে। কংগ্রেস রাহুল গান্ধী, এএপি নেতা সঞ্জয় সিং, আরজেডি নেতা মনোজ সিনহা এবং আরও অনেক বিরোধী নেতা কেন্দ্রের সমালোচনা করেন ও কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্র এবং কিষাণ আন্দোলনের জয় বলে অভিহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার ঘোষণার পর গাজীপুর সীমান্তে কৃষকরা একে অপরকে জিলিপি খাইয়ে উদযাপনে মাতেন। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত কৃষকদের বড় জয়। তবে এখনই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে না।