অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও ছত্তিশগড় সফরে যাওয়ার কথা। তাঁর আগেই এজাতীয় ডামাডোলে আরও বিপাকে পড়তে পারে কংগ্রেস।
পঞ্জাবে (Punjab) এখনও পুরোপুরি সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি কংগ্রেস (Congress Crisis)। এরই মধ্যে নতুন করে অশান্তি দেখা দিয়েছে ছত্তিশগড়ে (Chattisgarh)। রাজ্যের প্রায় ৩০ বিধায়ক বর্তমানে দিল্লিতে (Delhi) রয়েছেন। যদিও প্রত্যেকেই জানিয়েছেন ব্যক্তিগত কারণে তাঁরা দিল্লিতে এসেছেন। যদিও সূত্রের খবর ছত্তিশগড়ে ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেস গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার। একটি পক্ষ মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিএস সিং দেও-র বিবাদ সামনে আসছে। এই অবস্থা কংগ্রেস ছত্তিশগড় কিছু সাংগঠনিক রদবদল করেছে। চারটি জেলায় প্রধান নিয়োগ করেছে।
দিন কয়েক আগেই টিএস সিং দেও দাবি করেছিলেন, ২০১৮ সালে সরকার গঠনের সময় হাইকমান্ড জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথম আড়ই বছর থাকবেন বাঘের। পরবর্তীকালে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। যদিও পুরো বিষয়টি জল্পনা স্তরে রয়েছে। কংগ্রেসের একটি সূত্র বলছে মুখ্যমন্ত্রী বদল করা হবে এই আশঙ্কা থেকেই বাঘেলের অনুগামী বিধায়করা দিল্লি গেছেন তাঁর প্রতি সমর্থন জানাতে। যদিও বিধায়করা এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁরা এদিন রাজঘাটে গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধা জানাতেও গিয়েছিলেন। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাদের দেখা করার পরিকল্পনা নিয়েও মুখ খোলেননি তাঁরা। তবে কংগ্রেসের অন্দরেই তাপা গুঞ্জন রয়েছে পঞ্জাবের মত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে ছত্তিশগড়।
Video Game: সমকামী সম্পর্ক ও অমানবিক চরিত্র বাতিল, ভিডিও গেমের ওপর আরও কড়াকড়ি
Punjab Congress: ভোল বদল সিধুর, ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার পাশে থাকার বার্তা
'ভয়ঙ্কর শ্রদ্ধা' বলে চমক মহেশ মঞ্জরেকরের, গান্ধী জয়ন্তীয়েতেই গডসেকে নিয়ে ছবির কথা ঘোষণা
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও ছত্তিশগড় সফরে যাওয়ার কথা। তাঁর আগেই এজাতীয় ডামাডোলে আরও বিপাকে পড়তে পারে কংগ্রেস। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছে। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন ছত্তিশগড়ের ৭০ জন কংগ্রেসের বিধায়ক ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন টিএস সিং দেও। পঞ্জাবের মত পরিস্থিতি ছত্তিশগড়ে হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বলেছেন এই রাজ্যের পরিস্থিতি অনেক আলাদা। তাঁর অনুগামী বিধায়কদের দিল্লি সফর নিয়ে তিনি বলেন, বিধায়কদের কোনও জায়গায় যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নেই। বিধায়করা ব্যক্তিগত কাজ আর রাহুল গান্ধীর সফর নিয়ে আলোচনার জন্যই দিল্লিতে এসেছেন। রাজ্যের দলের দায়িত্বে থাকা পিএল পুনিয়ার সঙ্গে আলোচনা সেরেই তাঁরা ফিরে যাবেন।