সংক্ষিপ্ত
গত সপ্তাহেই আচমকা পঞ্জব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। তার বেশ কয়েক জন অনুগামীও তারই রাস্তায় হেঁটে পঞ্জাবের নতুন সরকারকে সংকটে ফেলে দিয়েছিলেন।
৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে অন্য সুর নভজ্যোৎ সিং সিধুর (Navjot Singh Sidhu) গলায়। শনিবার বিকেলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন 'পদ তাঁর কাছে বড় বিষয় নয়। কোনও পদ থাকুক বা না থাকুক তিনি রাহুল গান্ধী (Rahul Gadhi) ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Prinka Gandhi) পাশে থাকবেন। 'সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে সিধু গান্ধী পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গিকার করেছেন। তিনি বলেছেন, গান্ধী ও শাস্ত্রী জির নীতি ও আদর্শগুলি তিনি মেনে চলবেন। একই সঙ্গে সিধু বলেছেন নেতিবাচক শক্তিগুলি তাঁকে হারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু ইতিবাচক শক্তি দিয়ে তিনি পঞ্জাব জয় করবেন। পঞ্জাবের বাসিন্দাদের স্বার্থেই কাজ করে যাবেন।
গত সপ্তাহেই আচমকা পঞ্জব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। তার বেশ কয়েক জন অনুগামীও তারই রাস্তায় হেঁটে পঞ্জাবের নতুন সরকারকে সংকটে ফেলে দিয়েছিলেন। পঞ্জাবে রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন ছিল সিধু কংগ্রেস ছেড়ে আম আদমি পার্টিতে যোগ দান করছেন। যদিও বৃহস্পতিবারও পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী চরৎজিৎ সিং চন্নির সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছিল। সূত্রের খবর তার পর সিধু কংগ্রেসের থাকার বিষয়ে আস্বস্ত করেছিলেন। যদিও সেই সময় সিধু কংগ্রেস ছাড়া বা কংগ্রেসের থাকার বিষয়ে তেমন কোনও ঘোষণা করেননি। শনিবার তিনি জানিয়ে দিয়েছেন রাহুল প্রিয়াঙ্কার পাশে রয়েছেন তিনি।
Dinosaur: নতুন প্রজাতির ডাইনোসরর সন্ধান, ব্রাজিল ছিল দৈত্যাকার প্রানীদের চারণভূমি
Modi in Power: ২০ বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দই তাঁর আদর্শ, বললেন নরেন্দ্র মোদী
Ladakh Standoff: চিনা সেনার মোকাবিলায় লাদাখে K9-Vajra, আলোচনাতেই ভরসা সেনা প্রধানের
সূত্রের খবর পঞ্জাবে পুলিশের প্রধান ও অ্যাডভোকেট জেনারেলের নিয়োগ নিয়ে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ বেঁধেছিল। যা নিয়ে আসন্তোষ প্রকাশ করেই পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সিধু। যদিও তিনি বলেছিলেন তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে থাকবেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চন্নিই আসরে নামেন। সিধুর সঙ্গে কথা বলেন। তারপর থেকেই কিছুটা হলেও সুর নরম করেন ভারতের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন।
অন্যদিকে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং, যাঁকে সিধুর সঙ্গে বিবাদের কারণে দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্বের চাপে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয়েছিল তিনিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তিনি কংগ্রেসে থাকবেন না। তবে বিজেপিতে এখনই তিনি যাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন। সূত্রের খবর তাঁর অনুগামী বেশ কিছু কংগ্রেস বিধায়কও দল ছাড়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি আপাতত নতুন একটি আঞ্চলিক দল তৈরির ওপরও জোর দিচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। ভোটের পর তেমন হলে বিজেপির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে সরকারে যাওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে ঘনিষ্ট সূত্রে খবর।