এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এবার বিরোধীরা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে কথা বলার সুযোগ দেয়নি। বিরোধীরা কীভাবে গুড়ের গোবর তৈরি করতে হয় তাতে পারদর্শী।
লোকসভায় জবাবি ভাষণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রধানমন্ত্রী মোদী তার বক্তৃতার প্রথম থেকেই বিরোধীদের আক্রমণ শুরু করেন। তিনি বলেন, এই অনাস্থা প্রস্তাব আমাদের নয়, বিরোধী দলের ফ্লোর টেস্ট। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এবার বিরোধীরা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে কথা বলার সুযোগ দেয়নি। বিরোধীরা কীভাবে গুড়ের গোবর তৈরি করতে হয় তাতে পারদর্শী। এইবার অধীরবাবুকে কেন কথা বলতে দিলেন না, কে জানে, কলকাতা থেকে নিশ্চয়ই একটা ফোন এসেছে। কংগ্রেস বারবার তাকে অপমান করছে। আমরা অধীর বাবুর প্রতি আমাদের পূর্ণ সমবেদনা জানাই।
বিরোধীদের আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'কিছু লোক আমাদের গর্বকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিশ্ব আমাদের দেশকে চিনতে পেরেছে। যখন চারিদিকে সম্ভাবনা, ঠিক তখনই আমাদের বিরোধী দল মানুষের বিশ্বাস ভাঙার চেষ্টা করল। আজ আমাদের তরুণরা রেকর্ড পরিমাণ স্টার্টআপ গড়ে দেশের নাম বাড়াচ্ছে। আজ ভারতে রেকর্ড পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। কিন্তু আজ তারা ভারতের উন্নয়নের কথা শুনতে পারে না। এটা তাদের সমস্যা।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, " অনাস্থা প্রস্তাবে কিছু অদ্ভুত বিষয় সামনে এসেছে। বক্তাদের তালিকায় বিরোধী দলের সবথেকে বড় নেতার নাম ছিল না। শরদ পাওয়ার ১৯৯৯ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। ২০০৩ সালে যখন অটলজির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল সেই সময় বিরোধী দলনেতা ছিলেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ২০১৮ সালে মল্লিকার্জুন খাড়গে বিরোধী দলনেতা থাকাকালীন তিনি প্রস্তাব দেন। কিন্তু, এবার অধীর চৌধুরীর সঙ্গে কী হল! তাঁর দল তাঁকে বলতেই দিল না।"
এদিন অধীর চৌধুরীকে তীব্র কটাক্ষ করেন মোদী। তিনি বলেন, গুড়কে গোবর করতে তিনি দক্ষ। মোদী এদিন আরও বলেন "কংগ্রেস তাঁকে বারবার সাইডলাইনে পাঠিয়ে দেয়। কলকাতা থেকে বিশেষ ফোন এসেছিল কি? সেই জন্যই কি তাঁকে এই বিতর্ক থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছিল? আমি তাঁর প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।"
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'এমন অনেক বিল ছিল যা গ্রাম, দরিদ্র এবং আদিবাসীদের উন্নত ভবিষ্যতের সাথে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু বিরোধীরা তা হতে দেয়নি এবং এর ফলে বিরোধী দল জনগণের আস্থা হারিয়েছে। গরীবের ক্ষুধা নিয়ে বিরোধীরা চিন্তিত নন। আপনার মনে ক্ষমতার ক্ষুধা আছে। আপনি আপনার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত, তরুণদের ভবিষ্যত নিয়ে নয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ব্যঙ্গাত্মকভাবে বলেছেন, 'মজা দেখুন, এর ফিল্ডিং বিরোধীরা সংগঠিত করেছিল কিন্তু এখান থেকে বিজেপি চার ও ছক্কা মেরেছিল। সেঞ্চুরি হচ্ছে এখান থেকে আর ওখান থেকে নো বল হচ্ছে। রেডি হয়ে আসেন না কেন? আপনাদের পাঁচ বছর দিলাম, তবুও আপনারা পারলেন না। এরকম অবস্থা কেন?